Dankuni: বাঘরোল দেখে ঘুম উড়েছে ডানকুনির, বন দফতর বলছে ‘ওদের বাঁচান’

Dankuni: স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যেই গ্রাম থেকে কুড়িটির বেশি ছাগল গায়েব হয়ে গিয়েছে। এলাকার কাউন্সিলার শেখ আশরাফ বলছেন, থানায় জানানো হয়েছে, খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরেও। যদিও আতঙ্ক কাটছে না এলাকা থেকে।

Dankuni: বাঘরোল দেখে ঘুম উড়েছে ডানকুনির, বন দফতর বলছে ‘ওদের বাঁচান’
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Facebook

| Edited By: জয়দীপ দাস

Nov 24, 2024 | 11:49 AM

ডানকুনি: আতঙ্কটা মাথাচাড়া দিচ্ছিল বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই। মাঝেমধ্যেই গায়েব হয়ে যাচ্ছিল হাঁস, মুরগি এমনকি বড় বড় ছাগলও। দিন কয়েক আগে ক্যামেরায় ধরা পড়ে চিতা বাঘের মতো একটা জন্তুর ছবি। তাতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় ডানকুনি পৌরসভার খড়িয়াল বাগপাড়া এলাকায়। কিন্তু, পরে জানা যায় ওটা আসলে বাঘরোল। এই পাড়ার পাশেই রয়েছে একটি জলা জঙ্গল। এই জঙ্গলেই বেশ কিছু মেছো বাঘ অর্থাৎ বাঘরোলের থাকছে বলে খবর। এই মেছো বাঘ আবার বাংলার রাজ্য প্রাণীও বটে। কিন্তু, দেখথে খানিকটা বাঘের মতো হওয়ায় প্রথম দর্শনে অনেকেই ভুল করে বসেন। সে কারণে বহু জায়গাতেই আতঙ্কের জেরে এদের পিটিয়ে মারার মতো একাধিক ঘটনাও ঘটেছে। বারবার মানুষকে এ বিষয়ে সতর্কও করা হয়েছে বন দফতরের তরফে। দেখতে পেলেই বন দফতরকে যাতে খবর দেওয়া হয় সে কারণে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানও চলে। 

মূলত জলা জঙ্গলেই এদের দেখতে পাওয়া যায়। খাবারের সঙ্কট দেখা দিলেই উঁকি দেয় লোকালয়ে। আর তখনই অনেক ক্ষেত্রে ঘটে বিপত্তি। যদিও ডানকুনির ওই এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, হাঁস-মুরগি তুলে নিয়ে যাওয়ায় তাঁরা খুব একটা ভয় পাচ্ছেন না। ভয় বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে। সেই ভয়েই বিকাল-সন্ধ্যার পর আর কেউ বিশেষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। এলাকা কার্যত শুনশান হয়ে যাচ্ছে। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইতিমধ্যেই গ্রাম থেকে কুড়িটির বেশি ছাগল গায়েব হয়ে গিয়েছে। এলাকার কাউন্সিলার শেখ আশরাফ বলছেন, থানায় জানানো হয়েছে, খবর দেওয়া হয়েছে বন দফতরেও। অন্যদিকে বন দপতর বলছে, গত কয়েক বছর ধরে এই এই বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর যাতে কেউ কোনও ক্ষতি না করে তার জন্য লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে সরকার। এদের সুরক্ষিত রাখতে একাধিক উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।