Hooghly: বার্ষিক অনুষ্ঠানের আগেই চন্দননগর কলেজের সামনে ছাত্র পরিষদের ‘গোষ্ঠীকোন্দল’

হুগলি: চন্দননগর কলেজের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের অভিযোগ। বচসা থেকে হাতাহাতি,আটক প্রাক্তন জেলা সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন।
চন্দননগর কলেজে কয়েকদিন পরে অনুষ্ঠান হবে। তা নিয়ে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। সম্প্রতি হুগলি জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সোমবুদ্ধ দত্তকে। তাঁর গোষ্ঠী যদিও কলেজে সক্রিয় রয়েছে। টিএমসিপির সেই গোষ্ঠী অনুষ্ঠান নিয়ে সক্রিয়তা দেখানোয় সোমবুদ্ধর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর ছাত্ররা তা মেনে নিতে পারেনি। কলেজের অবজার্ভার সুইটি কোলের অভিযোগ, বহিরাগত কয়েকজন গিয়ে তাঁদের উপর আক্রমণ করেন। যাঁরা গত কয়েকদিন ধরে কলেজের বাইরে তাঁদের উত্ত্যক্ত করছিলেন। চন্দননগর থানায় মিছিল করে এর প্রতিবাদে ডেপুটেশন দিয়ে কলেজে ফেরার সময় তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

দুই ছাত্রী আহত হয়।পুলিশ গিয়ে কলেজের সামনে থেকে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজনকে আটক করে। প্রাক্তন সভাপতিকেও আটক করা হয়।খবর পেয়ে তার অনুগামীরা থানার সামনে জড়ো হন। কলেজের এক ছাত্রী সোহিনী সামন্ত বলেন, পাপ্পু চৌধুরী নামে এক বহিরাগত বিধায়কের নাম নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। সুইটি কলেজের অবজার্ভার, তাঁকেও মারধর করা হয়েছে।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “কলেজের বাইরে বহিরাগতদের সঙ্গে কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে একটা গন্ডোগোল হয়েছে। সেখানে সোমবুদ্ধ ছিল। দলের কোনও ব্যাপার নয়।পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেবে।”

এস এফ আই হুগলি জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলী সদস্য সায়ন্তন ঘোষ বলেন, “কলেজে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ চিন্তায় রয়েছে। আসলে ছাত্র সংসদের নামে নবীন বরণ থেকে টাকা তোলাটাই মূল উদ্দেশ্য।”