Dhaniakhali: খাওয়ার আলুর বস্তায় স্টিকার বদলে বিক্রি, বীজ আলু কিনতে গিয়ে ঠকছেন চাষিরা, হিমঘরে হানা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Nov 04, 2022 | 6:56 PM

Potato Cold Storage: বৃহস্পতিবার রাতে ধনিয়াখালির একটি হিমঘরে খাওয়ার আলুকে প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল। পঞ্জাব বীজ আলুর স্টিকারও সাঁটানো হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, বীজ আলু হিসেবে বাজারে বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই এই কাজ করা হচ্ছিল।

Dhaniakhali: খাওয়ার আলুর বস্তায় স্টিকার বদলে বিক্রি, বীজ আলু কিনতে গিয়ে ঠকছেন চাষিরা, হিমঘরে হানা
বীজ আলুর বস্তা

Follow Us

ধনিয়াখালি: খাওয়ার আলুকে হিমঘরেই (Cold Storage) বস্তাবন্দি করা হচ্ছিল। এমনকী বস্তায় লাগানো হচ্ছিল পঞ্জাব বীজ আলুর স্টিকার। বীজ আলু হিসেবে বিক্রির জন্যই কি এমন কাণ্ড চলছিল? হাতেনাতে ধরে সেই আলু বাজেয়াপ্ত করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আলু বীজ কমিটির সদস্যরা। হিমঘর জাত খাওয়ার আলু নিয়ে এর আগেও একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। চাষীরা যে দামে আলু বিক্রি করছেন, তার থেকে দ্বিগুণ দামে আলু বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে অতীতেও অভিযোগ উঠেছে। এবার বীজ আলু নিয়েও অভিযোগ উঠতে শুরু হয়েছে। রাজ্যের একাধিক হিমঘরে খাওয়ার আলুকেই বীজ আলু হিসেবে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ধনিয়াখালির একটি হিমঘরে খাওয়ার আলুকে প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল। পঞ্জাব বীজ আলুর স্টিকারও সাঁটানো হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে, বীজ আলু হিসেবে বাজারে বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই এই কাজ করা হচ্ছিল। এদিকে ওই ঘটনার খবর পেয়ে হিমঘরে হানা দেয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আলু বীজ কমিটির সম্পাদক স্বপন সামন্ত ও কমিটির বেশ কয়েক জন সদস্য এবং তাঁরা সেই আলু বাজেয়াপ্ত করে নেন। জানা গিয়েছে, সেই আলুকে বীজ আলু হিসাবে বর্ধমান জেলায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তবে আলু প্যাকেটজাত করার সময়, যে ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়, সে কিছুই জানে না বলে জানায়। অন্যদিকে হিমঘর কর্মচারীরাও নাকি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।

কীভাবে হচ্ছে এই নকল বীজের কারবার?

গত মরশুমে এই রাজ্যে আলুর ফলন কম হওয়ায় হিমঘর ভর্তি করতে ভিন রাজ্য থেকে আসা খাওয়ার আলু মজুত করা হয়। এবার ভিন রাজ্যে সেই আলুকেই বীজ আলু হিসাবে চাষীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে মুনাফা লোটার কাজে নেমে পড়েছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। পঞ্জাবের বস্তা,পঞ্জাবের স্টিকার এমনকী বস্তার মুখ সেলাই করার জন্য যে সুতুলি দড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটাও পঞ্জাবের। অর্থাৎ পঞ্জাবের প্যাকেটে, খাবার আলুকে বীজ আলু হিসাবে বাজারে বিক্রি করতে মাঠে নেমে পড়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। যদিও এই নকল আলু বীজ ঠেকাতে একাধিক পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্য আলু বীজ কমিটির সভাপতি তথা চন্দ্রকোণার তৃণমূল বিধায়ক উত্তরা সিং।

আদৌও কি নকল বীজ কারবারিদের ঠেকানো সম্বব হবে? প্রশ্ন তুলেছেন চাষীদের একাংশ। এই নকল বীজের কারবারের কথা সামনে আসতেই রীতিমত চিন্তায় রয়েছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি, বহু বছর ধরেই নকল আলু বীজের কারবার চলছে। এবার সেই কারবার সামনে এসেছে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে নকল আলু বীজ বসিয়ে বহু চাষী সর্বস্বান্ত হয়েছেন। নকল আলু বীজের বস্তা দেখে বোঝার উপায় নেই, যে সেটি নকল। এই নকল বীজের কারবার বন্ধ করতে তৎপর হোক সরকার, চাইছেন চাষীরা। যদিও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আলু বীজ কমিটির সম্পাদক স্বপন সামন্ত বলেন, “এই বছর আমরা যথেষ্ট তৎপর। চাষীদের যাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা ঠকাতে না পারে, তার জন্য বার বার হিমঘরগুলিতে হানা দেওয়া হবে। ধরা পড়লে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

 

Next Article