Bus Strike News: আগামিকাল থেকে প্রায় সব রুটেই বন্ধ বাস পরিষেবা! অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক অ্যাসোসিয়েশনের
Arambag Bus Strike: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক দিকে আর্থিক কারণ, বাড়ন্ত তেলের দাম এবং যাত্রীর অভাবে জর্জরিত বাস পরিষেবা। প্রতি মুহুর্তে চলছে টিকে থাকার লড়াই। এই পরিস্থিতিতে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে রামকৃষ্ণ সেতু। সংস্কারের কাজে দীর্ঘদিন ধরে সেই সেতুতে বাসের প্রবেশ নিষেধ। লাগানো রয়েছে হাইট-বার।

হুগলি: সেতু সংস্কারের নামে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ বাস চলাচল। কমছে আয়। বিপাকের মুখে ‘বিদ্রোহের’ ডাক বাস পরিচালন সমিতির। বুধবার থেকে রাস্তায় চলবে না একটাও বাস। অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস ও মিনিবাস চালকরা।
ঘটনা আরামবাগের। কয়েক মাসের ব্যবধানে সেখানে ফের একবার বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পরিচালন সমিতি। বুধবার অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়ে যাবে এই ঘোষণা। কিন্তু হঠাৎ করেই কেন ধর্মঘটের ডাক দিতে হল আরামবাগের বাস ও মিনিবাস পরিচালন সমিতিগুলিকে? কী নিয়েই বা বিবাদ চড়ল সেখানে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক দিকে আর্থিক কারণ, বাড়ন্ত তেলের দাম এবং যাত্রীর অভাবে জর্জরিত বাস পরিষেবা। প্রতি মুহুর্তে চলছে টিকে থাকার লড়াই। এই পরিস্থিতিতে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়েছে রামকৃষ্ণ সেতু। সংস্কারের কাজে দীর্ঘদিন ধরে সেই সেতুতে বাসের প্রবেশ নিষেধ। লাগানো রয়েছে হাইট-বার। ফলত, বাসের ভরসা ছেড়েছেন যাত্রীরা। মার খাচ্ছে ব্যবসা।
প্রশাসনের সাফ নির্দেশ, বর্তমানে সেতুর যা হাল, তা দিয়ে ১০ টনের বেশি ভারী ওজনের যান চলাচল সম্ভব নয়। অবশ্য বাস পরিচালন সমিতিগুলির দাবি, সাধারণ যে সকল বাসগুলি যাত্রীদের পরিষেবা প্রদান করছে। সেগুলি কোনওটাই ৯ টনের বেশি নয়। কিন্তু তারপরেও মিলছে না অনুমতি। প্রশাসনিক স্তরে, এমনকি পরিবহন দফতরেও বারংবার চিঠি দেওয়া হলেও কোনও উত্তর আসেনি। তাই সেই প্রশাসনের ‘টনক নাড়াতে’ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস অ্যাসোসিয়েশনগুলি।
এদিন আরামবাগ মহকুমা বাস মিনিবাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদিকা মধুমিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুজোর বাজারেও মেলেনি যাত্রী। মালিকরা আর্থিক ভাবে ভুগছে। আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’ উল্লেখ্য়, আরামবাগ চত্বর বাস পরিষেবা বন্ধ হলে এক সঙ্গে প্রভাব পড়বে সাত-আটটি জেলায়। কারণ, এই চত্বর থেকে হুগলি ও পার্শ্ববর্তী একাধিক জেলা, এমনকি কলকাতারও বাস ছাড়ে। ভোগান্তি বাড়বে যাত্রীদের।
