Konnagar: তৃণমূল নেতা খুনে দু’দিনের মাথায় বদল কানাইপুরের পুলিশ ইনচার্জ
Konnagar: এর আগে বিশ্বজিৎ চন্দননগর থানার ইনচার্জ ছিলেন। সেখান থেকে আপাতত তাঁকে বদলি করে নিয়ে আসা হল কোন্ননগরের কানাইপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। অন্যদিকে, বদলি হওয়া রাহুলকে নিয়ে যাওয়া হল চন্দননগর থানায়।

হুগলি: তৃণমূল নেতা খুনে দু’দিনের বদল পুলিশ ইনচার্জ। শনিবার কোন্নগরের কানাইপুরে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য খুনে সিসিটিভি ফুটেজ ধরে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর বেলা গড়িয়ে অন্ধকার নামতেই বদলে দেওয়া হল সেই কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ ইনচার্জকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আগের ফাঁড়ি ইনচার্জ রাহুল বিশ্বাসকে সরিয়ে তার বদলে দায়িত্বে এনেছেন বিশ্বজিৎ পালকে। এর আগে বিশ্বজিৎ চন্দননগর থানার ইনচার্জ ছিলেন। সেখান থেকে আপাতত তাঁকে বদলি করে নিয়ে আসা হল কোন্ননগরের কানাইপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। অন্যদিকে, বদলি হওয়া রাহুলকে নিয়ে যাওয়া হল চন্দননগর থানায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার মাঝরাস্তায় রাতের অন্ধকারে স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য পিন্টু চক্রবর্তীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারে দুই আততায়ী। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তড়িঘড়ি ওই তৃণমূল নেতাকে SSKM হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কোনও লাভ হয় না। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এদিকে শুরু হয় তদন্ত। পুলিশে হাতে পৌঁছয় ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ। যাতে ওই তৃণমূল নেতাকে খুনের ছবি স্পষ্ট ফুটে ওঠে। সেই ফুটেজ ধরেই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে পুলিশ। এরপরই গ্রেফতার করা হয় তিন অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা। যিনি এই খুনের কাণ্ডারি। তিন লক্ষ টাকা দিয়ে এই বিশা শাসনের বিশ্বজিৎ প্রামাণিক ও বারাসাতের দীপক মণ্ডলকে ভাড়াটে খুনি হিসাবে নিয়োগ করে। এরপর তৈরি হয় ছক। যার ফলাফল এখন সকলের সামনে। কিন্তু কেন খুন? সূত্রের খবর জমি বিবাদই পিন্টুর জীবনে হল কাল।

