School Closed Bengal: দলে দলে সরানো হয়েছে পড়ুয়াদের! খানাকুলের স্কুলে আঁধারে শিক্ষা
School Closed Bengal: এই সময়ের স্কুলের হাল ধরে এলাকার শিক্ষিত যুবরা। তাতে গ্রামবাসীরাও সাহায্য করত। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনও অনুদান না মেলায় সেই তারা সরে যায়।

হুগলি: ২০১৬ থেকে ২০২৪। ব্যবধান বছর আষ্টেক। যার মধ্য়েই তালা ঝুলে গেল সরকারি অনুদান প্রাপ্ত স্কুলে। ঘটনা খানাকুলের কিশোরপুরের ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের। সেখানে বছর কয়েক আগেই তৈরি হয়েছিল বিবেকানন্দ জুনিয়র হাই স্কুল। শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও ২ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। দশ বছরও পূর্ণ হয়নি। তার আগেই বন্ধ এই অনুদান প্রাপ্ত স্কুলটি।
কিন্তু এই বন্ধের কারণ কী? গ্রামবাসীদের অভিযোগ, শিক্ষক নেই। অনুদান নেই। কীভাব স্কুল চলবে? স্থানীয়দের দাবি, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরাই এই স্কুলে ক্লাস নিতেন। কিন্তু পাঁচ বছর শিক্ষকতার পর বার্ধক্য কারণে তারাও একে একে সরে যান। এই সময়ের স্কুলের হাল ধরে এলাকার শিক্ষিত যুবরা। তাতে গ্রামবাসীরাও সাহায্য করত। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে কোনও অনুদান না মেলায় সেই তারা সরে যায়।
তারপর থেকে স্বাভাবিক ভাবেই তালা বন্ধ পড়ে রয়েছে স্কুলটি। হয়ে উঠেছে বানভাসী মানুষের মাথা গোঁজার আস্থানা। এদিন হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বলেন সুবীর মুখোপাধ্য়ায় বলেন, “ওটি একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। সেখানে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা অবসর নিয়েছেন। এবার যেহেতু ওটি কেন্দ্রের আওতায় তাই ওখানে কোনও শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তবে পড়ুয়াদের অন্যান্য সরকারি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আর স্কুল ভবনটিকে অন্য কোনও কাজে লাগানো যায় কিনা সেটাও দেখা হচ্ছে।”
পুজোয় অনুদান মিললেও, স্কুলে মিলছে না। রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। তাঁর কথায়, “সব জায়গায় টাকা ব্যয় হচ্ছে কিন্তু শিক্ষা শেষ হলে। শিক্ষকের অভাবে একটা আস্ত স্কুল বন্ধ হয়ে গেল।” এদিন ওই তালা বন্ধ স্কুলের অ্যাডহক কমিটির সদস্য সতীনাথ চক্রবর্তী বলেন, “গতবছর সবাই অবসর নিলেন। তারপর থেকে কাউকেই নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। দু’জন এসেছিলেন। কিন্তু তারাও পরে জয়েন করেননি। শেষ পর্যন্ত ২৫ জন মতো ছাত্রছাত্রী ছিল। কিন্তু শিক্ষক না পেয়ে তাদের অন্য স্কুলে পাঠানো হয়েছে।”

