TMC-CPIM: ‘জমি দিয়েছিল বাম সরকার, কেড়ে নিতে চাইছে তৃণমূল সরকার’, বিডিও-পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ হুগলিতে

Sanath Majhi | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 10, 2025 | 2:40 PM

TMC-CPIM: এদিন ফের বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে জমির দখল নিতে যায় ব্লক প্রশাসন। ফের পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। পোলবা-দাদপুর বিডিও ও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে পাট্টাদাররা। বিক্ষোভে দলের পতাকা নিয়ে নেতৃত্ব দেয় সিপিআইএম।

TMC-CPIM: ‘জমি দিয়েছিল বাম সরকার, কেড়ে নিতে চাইছে তৃণমূল সরকার’, বিডিও-পুলিশকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ হুগলিতে
বিক্ষোভে বামেরা
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

হুগলি: জমি দিয়েছিল বাম সরকার, কেড়ে নিতে চাইছে তৃণমূল সরকার! এক বিঘা, দু’বিঘা নয়, প্রায় ২৫ বিঘা জমির ‘দখল-বেদখলের’ অভিযোগে সরগরম হুগলির রাজনৈতিক মহল। সালটা ছিল ১৯৯৪। সূত্রের খবর, হুগলির দাদপুর থানার বাবনান গ্রাম পঞ্চায়েতের মূলগ্রাম মৌজার প্রায় পঁচিশ বিঘা জমি ওই সময় পাট্টা দেওয়া হয়। এলাকারই ১৭৭ জন সেই পাট্টা পেয়ে এতদিন চাষবাস করছিলেন। সেই জমির মালিকানা নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। জল গড়িয়েছে হাইকোর্টে। 

জমির মালিক সেই জমি ফিরে পেতে মামলা করেছেম আদালতে। হাইকোর্ট জমির হিসেব বুঝিয়ে দিতে নির্দেশ দেয় মহকুমা শাসক ও ব্লক প্রশাসনকে। সেই মতো গত বুধবার পুলিশ নিয়ে প্রশাসনের লোকজন জমি দখল নিতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। 

এদিন ফের বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে জমির দখল নিতে যায় ব্লক প্রশাসন। ফের পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়ে যায়। পোলবা-দাদপুর বিডিও ও পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে পাট্টাদাররা। বিক্ষোভে দলের পতাকা নিয়ে নেতৃত্ব দেয় সিপিআইএম। পাট্টাদাররা জানান, কোনওমতে জমি তাঁরা ছাড়বেন না। গত ত্রিশ বছর ধরে তারা চাষ করছেন ওই জমিতে। বাম সরকার তাঁদের পাট্টা দিয়েছিল। এই জমি তাদের। বর্তমান সরকার সেই জমি কেরে নিতে চাইছে।

এদিকে এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে আবার এলাকায় ভিড় করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদেরও। তবে জমির প্রকৃত মালিকানার অংশীদার মহসীন মণ্ডল বলেন, “বাম সরকারে আমলে সিপিএম জোর করে জমি দখল করে বিলি করে দিয়েছিল। এই জমির মালিক আটওয়ারা খাতুন। ২০০২ সালে পাট্টা খারিজ হয়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে আমাদের নামে পর্চা হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও মির দখল নিতে পারিনি। আদালত নির্দেশ দিলেও তা দিতে পারছিল না প্রশাসন। বর্তমানে ওই পাট্টাদারদের ষাট শতাংশ মারা গিয়েছেন। যারা আছে তারা মৌখিক ভাবে জমি অন্যকে বেচে দিয়েছে।”