Arambag: মিলছে না আলুর দাম! বাধ্য হয়ে আলু চাষ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন কৃষকরা
Potato cultivation: চলতি বছরে অসহায় চাষিরা আলু চাষ কমিয়ে দিচ্ছেন বাধ্য হয়েই।
আরামবাগ: একদিকে সারের কালো বাজারি আর অপর দিকে আলুর দাম না পাওয়া। সব মিলিয়ে আলু চাষদের মাথায় হাত। আর সারের অমিল হওয়ায় আলু চাষেও দেরি হয়ে যাচ্ছে চাষিদের। সব মিলিয়ে চরম সংকটে আলু চাষিরা। এই দৃশ্য সর্বত্র।
জেলায় সার অমিল। সারের দাম অগ্নিমূল্য।আবার এই সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী কালোবাজারি শুরু করে দিয়েছেন। তাতেই নাজেহাল চাষিরা। আর তাই আবারও চাষিদের মাথায় কালো মেঘ। চলতি বছরে অসহায় চাষিরা আলু চাষ কমিয়ে দিচ্ছেন বাধ্য হয়েই। কারণ রাসায়নিক সারে চলছে ভীষণ ভাবে কালোবাজারি।
আবারো সমস্যার সম্মুখীন আলুচাষিরা। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাসায়নিক সারের দাম। প্রিন্ট প্রাইসে রাসায়নিক সার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রিন্ট প্রাইস থেকে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা বেশি মূল্যে রাসায়নিক সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা। যার ফলে চাষিরা আলু চাষ কমিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। এখনও মাঠ থেকে কাটা ধান বাড়িতে ওঠেনি বাড়িতে। আবার আলু বসানোর তোড়জোড়ের শুরুতেই বড় সড় ধাক্কা চাষিদের।
কোনও চাষির নিজের জমি আবার কেউ কেউ ভাগচাষী। আর এমত অবস্থায় যদি রাসায়নিক সারের দাম বেশি হয় তাহলে তারা আর চাষ করতে পারবেন না। যার ফলে কৃত্তিম চাহিদা সৃষ্টি হবে উৎপাদিত আলুতে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সারের দাম ১)ডি.এ.পি র প্রিন্ট প্রাইস ১২০০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৫০০- ১৬০০ টাকায়।
২)নবরত্না ১০.২৬.২৬ প্রিন্ট প্রাইস ১৪৯০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৬০০- ১৭৫০ টাকায়।
৩)পটাশ প্রিন্ট প্রাইস ১১০০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০- ১৫০০ টাকায়।
৪)ইউরিয়া প্রিন্ট প্রাইস ২৬৬ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৪৫০ টাকায়।
যদিও প্রশ্ন উঠেছে, প্রিন্ট প্রাইস এর ওপর কি দাম নেওয়া যায় ? কেন চাষিদের রাসায়নিক সারের অতিরিক্ত দাম নেওয়ার রশিদ দেওয়া হচ্ছে না ? কেন চাষিদের চড়া দামে রাসায়নিক সার কিনতে হবে ? কেন ব্যবসায়ীরা এই বিষয়ে মুখ খুলছেন না?অথচ চাষিদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন সরকারের বিভিন্ন নেতা ও মন্ত্রী। রাসায়নিক সারের কালোবাজারি নিয়ে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? অবিলম্বে দ্রত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি চাষিদের।
উল্লেখ্য,আরামবাগের আলুর খ্যাতি আছে। কিন্তু সেই আলু বসানোর কাজেও এই বছর দেরী হবে। এর আগে বৃষ্টির কারণে পাকা ধান মাঠেই পড়ে ছিল। যার কারণে আলু বীজ রোপণ করা যায়নি। এর আগে দুইদিন ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে আরামবাগের বিভিন্ন এলাকায় ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছিল। যার ফলে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হয়েছে। আর অন্যদিকে সবজি জমিতে জল জমে ক্ষতি হয়েছিল সবজির।
আরামবাগ মহকুমার পুড়শুড়া, গোঘাট ও আরামবাগের কিছুটা অংশে প্রচুর পরিমাণে সবজি চাষ হয়। বন্যার জন্য পরপর তিনবার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সবজি চাষিরা। এরপর লাগাতার বৃষ্টিতে সবজি জমিতে জল জমেছে যার ফলে আবারও ক্ষতি হয়েছিল চাষিদের। এরপর আবার চড়া দামে সার কেনা। রীতিমত নাজেহাল চাষিরা।