বলাগড়: স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ। শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে বাটালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা যুবকের। অভিযুক্ত যুবক পলাতক। হুগলির বলাগড় থানার জিরাট কলেজ মাঠ সংলগ্ন এলাকার ঘটনা। আহত শাশুড়িকে ভর্তি করা হয়েছে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আট বছর আগে সীমা বাড়ুইয়ের বিয়ে হয় জিরাটের অসিত হালদারের। তাঁদের একটি পুত্র সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। সীমার দাবি, তাঁকে অত্যাচার করা হত শ্বশুরবাড়িতে। এরপর দু’জনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। যদিও আইনি বিচ্ছেদ হয়নি। সীমা হুগলিতে একটি জায়গায় কাজ করেন। এবং সেখানেই থাকেন।
শুক্রবার সকালে অসিত তাঁর শ্বশুড়বাড়িতে আসেন। সীমা বাড়িতে ছিলেন না। শাশুড়ির সঙ্গে জামাইয়ের অশান্তি শুরু হয়। সীমার ছোট বোন ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে প্রথমে তাঁকে বাটালি দিয়ে আঘাত করেন অসিত। তাঁকে বাঁচাতে এলে অসিত তাঁর শাশুড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। বাটালি দিয়ে আঘাত করেন। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন শাশুড়ি বীথিকা বাড়ুই। আহত দু’জনকে জিরাট আহম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বীথিকাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অভিযুক্তর শ্যালক অসীম বাড়ুই বলেন, “জামাইবাবুর সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। তাও আজকে আমাদের বাড়িতে এসে মাকে গালিগালাজ শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে আমার বোন সমাপ্তিকে মারেন। তারপর মাকে বাটালি দিয়ে আঘাত করেন। আমি সেসময় বাড়িতে ছিলাম না। কলেজে গিয়েছিলাম।”
সীমা বলেন, “বিয়ের পর থেকে আমাকে অত্যাচার করত। তাই আমি আলাদা থাকি। বাড়িতে গিয়ে মাকে মেরেছে। বোনকে মেরেছে। ওর শাস্তি চাই।”
হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র জানান, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ রয়েছে। তার জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।