বলাগড়: ফের বেসুরো বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। নাম না করে দলের নেতা-নেত্রীদের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, কুকথা ঝরে পড়ল বিধায়কের গলায়। নিজের ফেসবুক পেজে লিখলেন, “চোর কাটমানি খোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই।” তবে শুধু দলের লোকজন নয়, যাঁরা তাঁর পোস্টে কেমন্ট করেছেন তাঁদেরও একাংশকে কার্যত ‘ধুয়ে’ দিয়েছেন বিধায়ক।
কী কারণে হঠাৎ রেগে গেলেন মনোরঞ্জন?
জিরাটের বিজয়কৃষ্ণ কলেজের সামনে কিছু লোকজন নিয়ে তৃণমূলেরই বলাগড়ের একাংশ নেতৃত্বকে তুলোধোনা করছেন বিধায়ক। এক নেত্রীর নাম না করে তাঁকে ‘সাপের’ ন্যায় তুলনা করার অভিযোগ ওঠে মনোরঞ্জনের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, জিরাটের তৃণমূল প্রধান তপন দাসকে মাতাল-তোলাবাজ বলেন। ওই ব্যক্তি কীভাবে স্কুল শিক্ষক হন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, মনোরঞ্জন ব্যাপারী ও রুনা খাতুনের মধ্যে বিরোধ পুরোনো। প্রথম থেকেই নানা বিষয়ে তাঁদের মত বিরোধ দেখা গিয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিলিবন্টন নিয়েও বিরোধ হয়েছে তপন দাস,রুনা খাতুনের গোষ্ঠীর সঙ্গে মনোরঞ্জনের। এখানেই শেষ নয়, বলাগড় কলেজ পরিচলন সমিতি আগে ছিল বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। বর্তমানে তা রয়েছে মনোরঞ্জন ব্যপারীর। ফলত সেই কলেজে অন্য কেউ মাথা হয়ে উঠুক তা মোটেই পছন্দ নয় বিধায়কের তাই এহেন কদর্য ভাষায় আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর আজ ফেসবুকে মনোরঞ্জন লেখেন, “এতো ট্রেলর হ্যায়, পিকচার অভি বাকি হ্যায় দোস্ত। একটু অপেক্ষা সব কিছু পরিষ্কার হবে। চোর কাটমানি খোরদের সাম্রাজ্য আমি ধ্বংস করবই। আমি দিদির আশির্বাদ নিয়ে বলাগড়ে এসেছি। চোর মাটি মাফিয়া জুয়া বোর্ডের মালিক যে যা পারিস করে নে…”
জিরাট পঞ্চায়েতের প্রধান তপন দাস বলেন,”বিধায়ক এর আগেও বলাগড়ের প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধে কিছু না কিছু বলেছেন। বাদ ছিলাম আমি। বিধায়কের আমার বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য থাকলে দলের ভিতর বলতে পারতেন এভাবে ওপেন ফোরামে কেন করলেন জানি না। ওনার সঙ্গে আমার কোনও সমস্যা নেই। তবে ফেসবুকে যা সব লিখেছেন তাতে বলাগড়বাসীর মাথা লজ্জায় হেঁট হয়ে গিয়েছে।” যদিও বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে ফোন করা হলে তিনি জেলার বাইরে একটি মিটিং-এ আছেন বলে জানান।