Arambagh: পরিদর্শকের অফিসের ঢিল ছোড়া দূরত্বে বেহাল দশা স্কুলের, খোলা আকাশের নিচে চলছে পড়াশোনা
Arambagh: আরামবাগ শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে মলয়পুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মলয়পুর বামাপদ দত্ত স্মৃতি বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমনই অবস্থা। শতাধিক পড়ুয়া রয়েছে স্কুলে। কিন্তু, আগামীতে কীভাবে এখানে ক্লাস হবে তা ভেবেই বাড়ছে চিন্তা।
আরামবাগ: অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসের ঢিল ছোড়া দূরত্বে বেহাল দশা স্কুল পড়ুয়াদের। বিদ্যালয় ছেড়ে দিয়ে বছরভর খোলা আকাশের নিচে অথবা গাছতলায় চলছে পঠন পাঠন। বিদ্যালয়ের ছাদ থেকে সিমেন্টের আস্তরণ খসে খসে পড়ছে। দেওয়ালের অবস্থাও তথৈবচ। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। বিদ্যালয় থেকে সরাইয়ের জন্য বারবার পরিদর্শকের অফিস থেকে বিডিও অফিসে জানানো হলেও কোন অনুদান মেলেনি বলে অভিযোগ। কোনও উপায় না পেয়েই শেষ পর্যন্ত আতঙ্কপুরী থেকে বেরিয়ে এসে খোলা আকাশেই নিচেই চলছে পঠনপাঠন। অভিভাবকরা বলছেন, প্রশাসন সবই জানেন। কিন্তু, ফান্ড না আসায় ষাটের দশকে তৈরি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সারাইয়ে কাজ হয়নি। তৈরি হয়নি নতুন বিল্ডিং। চাঞ্চল্যকর ছবি আরামবাগে।
আরামবাগ শহর থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে মলয়পুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মলয়পুর বামাপদ দত্ত স্মৃতি বুনিয়াদী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমনই অবস্থা। শতাধিক পড়ুয়া রয়েছে স্কুলে। কিন্তু, আগামীতে কীভাবে এখানে ক্লাস হবে তা ভেবেই বাড়ছে চিন্তা। এত সমস্যার পড়েও অবস্থার কেন পরিবর্তন হচ্ছে না সেই প্রশ্ন উঠছে নাগরিক মহল থেকে।
এদিকে একেবারে প্রত্যন্ত এলাকাতে রয়েছে এই স্কুলে। মোটের উপর নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই সরকারি বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। কয়েক মাস আগেই ছাদের চাঙড় ভেঙে এক ছাত্রী গুরুতর জখম হয়েছিল। তারপর থেকেই স্কুলের অন্দরে বন্ধ হয়েছে পড়াশোনা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা বৈঠকে বসেন। সেখানেই ঠিক হয় শিশুদের প্রাণের ঝুঁকি না নিয়ে খোলা আকাশের নিচেই চলবে পঠনপাঠন। এখন কবে সরকারি অনুদান আসে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।