হরিপাল: চার হাসপাতাল ঘুরে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হল হরিপালের যুবকের। অভিযোগ, এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে লাগাতার রেফার করা হলেও চিকিৎসা হয়নি কিছুতেই। পরিবারের আক্ষেপ, চিকিৎসা হলে হয়ত এভাবে অকালে চলে যেতে হত না তাঁদের বাড়ির ছেলেকে। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন। প্রশ্নের মুখে হরিপাল হাসপাতাল, চুঁচুড়া হাসপাতাল, কলকাতা মেডিকেল কলেজ, বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজি।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন থেকেই মাথার সমস্যায় ভুগছিলেন হরিপালের বিকাশ দুলে। যন্ত্রণাও হত প্রায়শই। ডাক্তারও দেখাচ্ছিলেন। এরইমধ্যে রবিবার তা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায়। মেয়ের অন্নপ্রাশনের জন্য এলাকায় আলুর বস্তা আনতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে গিয়ে মাথার যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। মাথাই তুলতে পারেননি আর। তারপরই তাঁকে হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হরিপাল হাসপাতালে।
পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় চুঁচুড়া হাসপাতালে। সেখান থেকে আবার রেফার করা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজে। সেখানে বিকাশের সিটি স্ক্যান হয় বলে জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, শুরু হয়নি চিকিৎসা। এরপর তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অফ নিউরোলজিতে। সেখানে নিয়ে গেলে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। উল্টে ৫ হাজার টাকা চাওয়া হয় বলে দাবি বিকাশের মা চায়না দুলের। এদিকে তখন গভীর রাত। ঘড়িতে ২টোর কাঁটা পেরিয়েছে। রাতে ছেলেকে নিয়ে কোথায় যাবেন তা ভেবে কূলকিনারা পাননি চায়না দেবী।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কাতর আর্জি জানান ভর্তি নেওয়ার। বেড না দিলেও মেঝে যাতে কোনওভাবে ব্যবস্থা করা যায় সেই আর্জিও জানান। কিন্তু, কিছুতেই কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। ভোর রাতে মায়ের পাশেই মৃত্যু হয় বিকাশের।