তারকেশ্বর-দক্ষিণেশ্বর: নববর্ষে সেজে উঠেছে বাংলা। ভক্তের ঢল নেমেছে মন্দিরে মন্দিরে। দক্ষিণেশ্বর থেকে কালীঘাট, তারকেশ্বর, সর্বত্রই একই ছবি। সকাল সকাল হালখাতা নিয়ে মন্দিরে চলে এসেছেন হাজার হাজার মানুষ। সব থেকে বেশি ভিড় ব্যবসায়ীদের। সাত সকালেই ধনলক্ষ্মীর মূর্তি ও নতুন খাতা নিয়ে তারকেশ্বর মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা। একই ছবি দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরেও। ভবতারিণীর মন্দিরে ভক্তদের ঢল। হালাখাতায় স্বস্তিক চিহ্নের ছাপ দিতে জমেছে ভিড়। সকালে মন্দির প্রাঙ্গনে যেতেই দেখা গেল লাইন। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন প্রচুর মানুষ।
ছোট থেকে মাঝারি, বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীরাই এদিন ভিড় করেছেন দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বরে। পরিবার-প্রিয়জনদের মঙ্গল কামনায় বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনেই পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছেন হাজার হাজার ভক্ত। নববর্ষের শুভ কামনা জানালেন তারকেশ্বর মন্দিরের পুরোহিত সায়ন গঙ্গোপাধ্যায়। ভক্তদের ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত তিনিও। বলেন, “প্রতি বছরের মতো এ বছরও সকাল থেকে এখানকার ব্যবসায়ীরা খাতা পুজো করতে আসছে। তার উপর আজ রবিবার। সে কারণে ভিড়টা অনেকটা বেশি। আশপাশের এলাকার বহু মানুষই নতুন বছরের শুরুতে মন্দিরে পুজো দিতে এসেছেন।”
উচ্ছ্বসিত এলাকার বাসিন্দারাও। মন্দির লাগোয়া এলাকাতেই থাকেন মিলন শিট। এত ভিড় দেখে তিনি বললেন, “গাজন সংক্রান্তি গেল তো, তারপর উপর পয়লা বৈশাখ, হাল খাতা, সব মিলিয়ে এবার ভিড়টা একটু বেশি। সকাল থেকেই প্রচুর মানুষ আসছেন পুজো দিতে। বাবার মাথায় জল ঢালতে অনেকে কাঁধে করে জলও এনেছেন। এত ভিড় দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগছে।”
ভক্তদের মধ্যেও দেখা গেল তুমুল উচ্ছ্বাস। এক ভক্ত অনুজ সিং তো বললেন, “বাবার পায়ে জল ঢেলে নতুন বছরের শুভ সূচনা করতে চাই। এটা বাবার প্রতি একটা আবেগ, একটা ভালবাসা। বাবার আশীর্বাদ নিয়েই এবার সব কাজ শুরু করতে চাই। ব্যবসা করতে গেলে বা যে কোনও কিছু করতে গেলে বাবা তারকনাথের আশীর্বাদ মাথায় পাওয়া যায় তা সত্যিই অতুলনীয়।”