AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Seoraphuli: শেওড়াফুলিতে উদ্ধার যৌনকর্মীর ঝুলন্ত দেহ, TMC বলল, ‘SIR আতঙ্ক’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চাঁপদানীর বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো, এবং স্থানীয় সাত নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর। অরিন্দম গুঁইনের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না মহিলার।

Seoraphuli: শেওড়াফুলিতে উদ্ধার যৌনকর্মীর ঝুলন্ত দেহ, TMC বলল, 'SIR আতঙ্ক'
মৃত্যু যৌন কর্মীরImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2025 | 3:22 PM
Share

হুগলি: হুগলির শেওড়াফুলিতে আত্মঘাতী এক যৌনকর্মী। ঘর থেকে উদ্ধার তাঁর ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় দেহ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর যদিও অভিযোগ, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল না নাম, সেই কারণেই ভয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, শেওড়াফুলি স্টেশন লাগোয়া গড়বাগান এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা। শুক্রবার তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আজ সকাল থেকেই ওই মহিলার কোনও রকম সাড়া-শব্দ না পেয়ে লোকজন খবর দেন পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে তাঁরা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান চাঁপদানীর বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন, বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো, এবং স্থানীয় সাত নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের কাউন্সিলর। অরিন্দম গুঁইনের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না মহিলার। নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কে ছিলেন। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিজেপি চাইছে মানুষের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে, তাই এসআইআর।

স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ সিং বলেন, “প্রায় তিরিশ বছর ধরে ওই যৌন কর্মী এই পল্লীতে ছিলেন। ওঁর স্বামী আছে। এসআইআর-এর ফর্ম দিয়ে গিয়েছে। হতেও পারে এসআইআর আতঙ্কেই আত্মহত্যা করেছেন।”

তবে ওই এলাকারই এক বাসিন্দা জানান, গতকাল রাতে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল।ছেলেকে নিয়ে তাঁর স্বামী চলে যান। আজ সকালবেলায় দেখা যায় দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।

শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হরি মিশ্র বলেন, ” শেওড়াফুলিতে এক যৌনকর্মী মারা গিয়েছে। আর বিধায়ক বলছেন এসআইআর আতঙ্কে মারা গিয়েছে। জানি না উনি কীভাবে এত গভীরে জানতে পারলেন ওই যৌন কর্মীর বিষয়ে। আমাদের কাছে খবর আছে, ওই মহিলা যাঁর সঙ্গে থাকতেন তাঁর সঙ্গে গতকাল ঝগড়া হয়। তারপরেই এই ঘটনাটা ঘটেছে। তৃণমূল সুইসাইড নোট নিয়ে সারা রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেউ মারা গেলেই এসার আতঙ্কে মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে। এসআইআর নিয়ে ছেলে খেলা করছে তৃণমূল।”

তবে শুধু হুগলি নয়, অপরদিকে বীরভূমেও আরও একজনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে সাঁইথিয়ার বাসিন্দা বিমান প্রামাণিকের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নামের পদবী ভুল ছিল। সেই আতঙ্কেই তিনি ভুগছিলেন। বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিবারের দাবি,এসআইআর আতঙ্কেই তিনি মারা গিয়েছেন।