হুগলি: রাজনীতিতে আবারও তিতিবিরক্ত মনোরঞ্জন ব্যাপারী (Manoranjan Byapari)। এর আগেও বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। এবার দলের দেওয়া দু’টি পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। হুগলি জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির সদস্য ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কমিটির পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে পোস্ট করে সেই খবর জানিয়েছেন বিধায়ক নিজেই।
সম্প্রতি, প্রার্থী তালিকা নিয়ে বলাগড়ে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর একটি মত পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। বলাগড়ের ব্লক সভাপতি সেই সময় অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, মনোরঞ্জনের বাড়ির পরিচারিকাকেও টিকিট দেওয়া হয়েছে। এরপর বিধায়ক ব্লক সভাপতির বিভিন্ন দুর্নীতির প্রসঙ্গ সামনে আনেন।
এ দিন, ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন যে, দলের তরফ থেকে তাঁকে আরও দু’টি পদ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তিনি কোনটাই নেননি। এমনকী তিনি রাজনীতি করতে চান না বলেও জানিয়েছেন। তাঁর মতো মানুষের জন্য এই রাজনীতি নয়। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি যে চাকরি করতেন তার পেনশন ও গ্রাচুইটি কিছুই পাননি। পেনশন শুরু হলে বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দেবেন বলে জানিয়েছেন মনোরঞ্জন।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও মনোরঞ্জন বিভিন্ন বিষয়ে মুখ খুলেছেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বলাগড়েরই এক নেতার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার পদ ছাড়ার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করলেন।
বিধায়কের ইস্তফা প্রসঙ্গে হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, “আমরা ওনার লেখা চিঠি কিছু পাইনি। ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন শুধু। দলকে লিখিত কিছু জানাননি।কী কারণে ইস্তফা দিচ্ছেন জানা নেই। আমাকে ইস্তফা পত্র দিলে আমি দলকে সেটা পাঠিয়ে দেব। দল একটা নিয়মে চলে। ওনার উচিত দলের নিয়ম মেনে চলা। ওনার যদি কোনও অসুবিধা হয়,তাহলে আমাদের সাথে আলোচনা করুক। উনি এটাও বলেছেন উনি সাহিত্যক মানুষ, রাজনীতি ওনার জন্য নয়। পেনশনের ক্ষেত্রে অনেক সময় কাগজপত্র ঠিক না থাকলে সমস্যা হয়। ইচ্ছা করে আটকে রাখার ব্যাপার নেই।”
এ দিন, টিভি ৯ বাংলাকে মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, “আমি জেলা সভাপতির কাছে ৫০ বার গিয়েছিলাম। পদ নিয়ে কী করব যদি আমায় মর্যাদা না দেয়। সেই সময় যাঁরা আমায় জিতিয়েছিলেন আজ আমি তাঁদের টিকিট দেব না? এক সময় যাঁরা বিজেপি-র হয়ে কাজ করেছিল তাঁরা টিকিট পাবে আমি বসে দেখব? আমায় দলের তরফে ৬০ থেকে ৭০টি টিকিট দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কারা পাবেন তাঁদের একটি তালিকাও তৈরি করি। মনোনয়নও জমা দেন তাঁরা। এইসবের পরও ব্লক সভাপতি অতিরিক্ত টিকিট কোথা থেকে পেল যে গোঁজ প্রার্থী ঢুকিয়ে দিল? পানের দোকানে টিকিট বিক্রি করল কীভাবে?”