Hooghly: মেয়ের প্রেমিককে কাটারির কোপ-বাঁশের প্রহার বাবা-মায়ের, ভয়ঙ্কর ঘটনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 08, 2022 | 5:27 PM

Hooghly: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রোহিত রাম (২০)। চুঁচুড়া কালিতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি।

Hooghly: মেয়ের প্রেমিককে কাটারির কোপ-বাঁশের প্রহার বাবা-মায়ের, ভয়ঙ্কর ঘটনা
ডানদিকে রোহিত রাম (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

হুগলি: দম্পতির মেয়ে। তাও আবার নাবালিকা। কিন্তু এই বয়সেই সে প্রেমে পড়েছিল পাড়ায় একটি দোকানে কর্মরত যুবকের। প্রেমের টানে তিন-তিনবার বাড়ি থেকেও পালিয়েছিল দু’জন। সদ্য গত সেপ্টেম্বরেই পুলিশের সাহায্যে ফিরিয়ে আনা হয় বিহার থেকে। এরপরই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। একটি ভাইরাল ভিডিয়ো দেখা যায়, ওই প্রেমিক যুবককে রাস্তায় কাটারি ও বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার চালাচ্ছে মেয়ের বাবা-মা। পরে রাস্তা থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। গোট ঘটনায় গ্রেফতার মেয়েটির মা। ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রোহিত রাম (২০)। চুঁচুড়া কালিতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। বছর দুয়েক ধরে তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঝিঙেপড়ার এক নাবালিকার। তাঁর এলাকার একটি মুদিখানার দোকানেই কাজ করতেন মৃত যুবক। দুজনের মধ্যে আলাপ সেই সূত্রেই। বছর দুয়েকের প্রেমে মোট তিনবার ওই নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন রোহিত। প্রত্যেকবারই পুলিশের সাহায্যে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁদের। সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে একইভাবে বিহারের সমস্তিপুর থেকে উদ্ধার করা হয় দুজনকে। এরপর ওই নাবালিকার ঠাঁই হয় একটি হোমে।

অভিযোগ, শুক্রবার একটি আটাকলে কাজ করার সময় রোহিতের উপর চড়াও হয় নাবালিকার বাবা-মা। মাটিতে ফেলে এলোপাথাড়ি তার উপর চলে মারধর। স্থানীয়রা ছুটে এসে আটকানোর চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন। এরপর রাস্তায় বারোটা নাগাদ রাস্তা থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রোহিতকে। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। গোটা ঘটনা পুলিশ সুয়োমোটো মামলা রুজু করেছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে মৃত যুবকের মা ফুলকুমারী রাম বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক মেনে নেয়নি তার পরিবার। তাই জন্যই মেরে ফেলা হয়েছে আমার ছেলেকে। আমরাও ছেলেকে মেলামেশা করতে বারণ করতাম কিন্তু ও শুনতো না। আমরা অভিযোগ তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

 

Next Article