AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arambagh: অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা! বিধানসভায় বিল পাশের দিনেই বাংলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজা

Arambagh: অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরামবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গোঘাট থানা এলাকা থেকে তাঁকে ধরে পুলিশ। তারপর থেকে চলছিল শুনানি। দীর্ঘ তিন বছর ধরে শুনানি শেষে অবশেষে রায় দিল আদালত।

Arambagh: অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকা! বিধানসভায় বিল পাশের দিনেই বাংলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজা
কী বলছেন নির্যাতিতার মা? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 03, 2024 | 3:04 PM
Share

আরামবাগ: রাজমিস্ত্রির কাজের সুযোগ নিয়ে নাবালিকাকে বার বার ধর্ষণের অভিযোগ। শেষে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে নাবালিকা। প্রায় তিন বছর আগের ঘটনায় অবশেষে বড় রায় দিল আরামবাগ মহকুমা আদালত। আরজি করের ঘটনার আবহে যখন রাজ্যের নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে সেই সময় এবার ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। পুলিশ সূত্রে জানা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতার আত্মীয়। ২০২১ সালে নাবালিকার বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজে যায়। সেই সুযোগে তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। যদিও শুরুতে ভয়ে ঘটনার কথা বাড়িতে জানায়নি নাবালিকা। কিন্তু, কিছুদিনের মধ্যেই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখনই ঘটনার কথা জানাজানি হয়ে যায়। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। 

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরামবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গোঘাট থানা এলাকা থেকে তাঁকে ধরে পুলিশ। তারপর থেকে চলছিল শুনানি। দীর্ঘ তিন বছর ধরে শুনানি শেষে অবশেষে রায় দিল আদালত। এদিন আরামবাগ মহকুমা আদালতের বিচারক কৃষান আগরওয়াল অভিযুক্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান। আদালতের রায়ে স্বভাবতই খুশি নির্যাতিতার পরিবার। এদিনই আবার বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী কঠোর বিল পাশ করে রাজ্য সরকার। যেখানে এই ধরনের ঘটনায় আরও কঠোরতম শাস্তির কতা বলা হচ্ছে। 

নাবালিকার মা বলছেন, “আমার স্বামী অনেকদিন আগে মারা গিয়েছে। আমি বিধবা। কোনওমতে সংসার চলে। এরমধ্যে ওই ছেলেটা আমাদের বাড়িতে কাজে এসেছিল। তখনই মেয়ের সঙ্গে ওই কাজ করে। তারপর মেয়েকে হুমকি দিয়ে বলে তোমার বাবা মারা গিয়েছে। তুমি যদি ঘটনার কথা কাউকে বলো তাহলে তোমার মাকেও মেরে দিয়ে চলে যাব। পরে জানতে পারি ওর পেটে বাচ্চা এসেছে। পরে কেসটা চাপা দিতে আমাকে টাকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি শুধু ওর শাস্তি চেয়েছি। ওর নিজের বাড়িতে বউ আছে। তিন ছেলের বাবা।”