Mid Day Meal : ভাত নয়, মিড ডে মিলে পিঠেপুলি, সঙ্গে নলেন গুড়ের পায়েস; স্কুলের উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ার দল

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Feb 08, 2023 | 9:09 PM

Mid Day Meal : স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন বিগত এক সপ্তাহ ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল স্কুলের এই পিঠেপুলি (Pithepuli) উৎসব। ছাত্রদের খাওয়াতে পেরে তাঁরাও খুশি।

Mid Day Meal : ভাত নয়, মিড ডে মিলে পিঠেপুলি, সঙ্গে নলেন গুড়ের পায়েস; স্কুলের উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ার দল
মিড ডে মিলে পিঠে

Follow Us

আরামবাগ : সার বেঁধে বসে আছে পড়ুয়ার দল। সকলের পরনেই স্কুলের পোশাক। চলছে খাওয়া-দাওয়া। এ দৃশ্য এ রাজ্যে নতুন নয়। মিড ডে মিল (Mid Day Meal) শুরু হওয়ার পর থেকে দুপুরে রাজ্যের স্কুলগুলিতে এ ছবি সকলেরই চেনা। ভাত, ডাল, তরকারি, ডিম, এসব তো ছিলই। কিন্তু, মিড ডে মিলের খাবারেই যদি দেওয়া হয় একেবারে পিঠেপুলি? শুনতে অবাক লাগলেও মঙ্গলবার এ ছবি দেখতে পাওয়া গেল হুগলির (Hooghly) গোঘাট ১ নম্বর ব্লকের চাতরা হাই স্কুলে। স্কুল পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের পাতে ভাতের বদলে একেবারে ব্যতিক্রমী পদ। দেওয়া হল পিঠে। ভাতের পরিবর্তে পিঠে পুলি খাওয়ার জন্য ব্যাপক উৎসাহও দেখা গেল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। 

স্কুলে ভাতের বদলে দেওয়া হচ্ছে পিঠে। এ খবর চাউর হতেই তা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়ে যায় গোটা এলাকায়। রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়ে যায় দিকে দিকে। এদিন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ মিড ডে মিলের কর্মীরা প্রায় তিনশোর বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের পাতে বিভিন্ন স্বাদের পিঠেপুলি তুলে দিলেন। সঙ্গে থাকল নলেন গুড়ের পায়েস। ক্লাস পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের এদিন পিঠেপুলি ও পায়েস খাওয়ানোর উদ্যোগ নিল স্কুল। তবে সব একরকম নয়, পিঠেপুলির মধ্যেও নানা বৈচিত্র। কোনও পিঠেতে থাকল নারকেলের পুর, কোনওটায় আবার মুগ ডাল, কোনোওটায় আবার সবজির পুর। মিলল ক্ষীরের স্বাদও। স্কুলের এই অভিনব উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত ছাত্রছাত্রীরাও। 

স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন বিগত এক সপ্তাহ ধরে অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল স্কুলের এই পিঠে পুলি উৎসব। ছাত্রদের খাওয়াতে পেরে তাঁরাও খুশি। কেউ কেউ তো বলছেন, আরামবাগ মহকুমায় হয়তো এই প্রথম কোনও স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের পিঠে পুলি ও পায়েস খাওয়ানোর উদ্যোগ নিল। চাতরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকার তো প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করছে। তাই আমরা ভাবলাম পড়ুয়াদের যদি পিঠে খাওয়ানো যায় তাহলে কেমন হয়। নানা স্বাদের পিঠে ছিল আজ। সঙ্গে পায়েসও ছিল। এই ধরনের খাবার দেওয়ায় পড়ুয়ারাও খুব খুশি। আমরাও আনন্দিত। আমি বিডিও ও এসআই সাহেবকেও জানিয়েছি। তাঁরাও খুব উৎসাহিত করেছেন। আমাদের ভাল লাগছে।”  

Next Article