হুগলি: সাতসকালে এক মহিলা তারস্বরে চিৎকার করছিলেন। দৃশ্যত তাঁকে মাটি থেকে টেনে হিঁচড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন পুলিশ কর্মীরা। দেখতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় দোকানি, বাসিন্দারা। মহিলা চিৎকার করে বলতে থাকেন তাঁকে পুলিশ জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে। কিন্তু একজন আপাতত সবজি বিক্রেতা মহিলাকে কেন পুলিশ গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে? উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মহিলার অভিযোগ শুনে ক্ষেপে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের ওপরেই চড়াও হয়। পুলিশের ওপরেও হামলা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হুগলির হরিপালের মালিয়া। পুলিশের জিপও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে বলে অভিযোগ। পুলিশ শেষমেশ লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে জিপ উদ্ধার করে। ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ কর্মী। চার জনকে আটক করা হয়েছে।
মালিয়ার বাসিন্দা অসীমা বাগ। তিনি সকালে বস্তায় ফুলকপি নিয়ে স্টেশনে যাচ্ছিলেন ট্রেন ধরতে। তারপর হঠাৎই এই ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ওই মহিলা রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিলেন। পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করতে থাকেন। যদিও পুলিশের দাবি, ওই মহিলা রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। তাই তাঁকে হাত ধরে তুলছিলেন পুলিশ কর্মীরা। এখানে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টার কোনও ঘটনাই ঘটেনি।
মহিলার চেঁচামেচিতে অনেকেই জড়ো হন। মহিলার অভিযোগ শুনে গ্ৰামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে যায় হরিপাল থানার বিশাল বাহিনী।
পুলিশ লেখা গাড়ি আটকে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে এলাকার বাসিন্দারা। চরম উত্তেজনা মোকাবিলা করতে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তাড়াও করেন।
হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন জানিয়েছেন , “চুরির ঘটনায় একজনকে আটক করা হচ্ছিল। সেই সময় গ্রামবাসীরা পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায় এবং পুলিশকে হেনস্থা করার চেষ্টা করে। তখনই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি উঁচিয়ে জনতাকে ছত্রভচ্ছ করে। ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।”