Health Centre: চারিদিকে আগাছা, খসে পড়ছে প্লাস্টার! স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসতেই ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jan 16, 2023 | 8:08 AM

স্বাস্থ্যে কেন্দ্রের অন্দরেই জঙ্গল গজিয়ে ওঠায় চিকিৎসা করাতে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি রোগীর পরিবারের সদস্যদের। এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে প্রায় পাঁচটি গ্রামের মানুষ।

Health Centre: চারিদিকে আগাছা, খসে পড়ছে প্লাস্টার! স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে আসতেই ভয় পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা
স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভগ্ন দশা

Follow Us

চুঁচুড়া: হুগলির পিয়ারাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁপসরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন এলাকাবাসীরা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘরের বিভিন্ন জায়গায় প্লাস্টার ভেঙে বেড়িয়ে পরেছে লোহার রড়, গজিয়ে উঠেছে গাছ। স্বাস্থ্য কেন্দ্র জুড়ে জঙ্গল ও আগাছায় ভরে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীদের। প্রতিদিন চিকিৎসক পাওয়া যায় না বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্যে কেন্দ্রের অন্দরেই জঙ্গল গজিয়ে ওঠায় চিকিৎসা করাতে আসতে ভয় পাচ্ছেন বলে দাবি রোগীর পরিবারের সদস্যদের। এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপর নির্ভর করে প্রায় পাঁচটি গ্রামের মানুষ। চাঁপসরা, রাজ্যধরপুর, ছিনামোড়, পিয়ারাপুর-সহ পারালা গ্রামের মানুষ আসেন এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

চিকিৎসা করাতে আসা গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় না। বড় কিছু হলে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে হয়। বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো টাকাপয়সা সব সময় থাকে না গ্রামবাসীদের কাছে। যার জেরে সমস্যায় পড়তে হয় তাঁদের। তাই সেখানে আসা রোগীরা চাইছেন, ঠিক মতো চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করা হোক সেখানে। এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা হোক।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মীর অভাব রয়েছে বলে মেনে নিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসক। পিয়ারাপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক শর্মিষ্ঠা গোস্বামী বলেছেন, “আমাদের এখানে কর্মবন্ধুর সমস্যা আছে। এক জনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে বাইরে পরিষ্কারের সমস্যা হচ্ছে। পঞ্চায়েতে বিষয়টা বহুবার জানিয়েছি। কোনও কাজ হয়নি। আমাদের কাছে টাকা না থাকায় বড় সমস্যা হচ্ছে কাজ করাতে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশার বিষয়টি স্থানীয় বিধায়কে জানানো হয়েছে। সহযোগিতার আশ্বাস সকলেই দিয়েছেন।”

বিষয়টি নিয়ে বিজেপি নেতা অমরনাথ গোলদার বলেছেন, “স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকের সমস্যা আছে। দশটি বেড এসেছিল। এখনও চালু হয়নি। প্রত্যেকদিন বলে চালু হবে। তৃণমুল নেতাদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই। নতুন ঘর হচ্ছে বলুন, দেখবেন তারা এগিয়ে আসবে কারন সেখান থেকে কিছু পাবে। আমরা চাইছি প্রতিদিন চিকিৎসকের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি বেডের ব্যবস্থা করা হোক।” এ বিষয়ে চাঁপদানির বিধায়ক তথা হুগলি শ্রীরামপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁই বেহাল দশার অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, “চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, নার্স সবই আছে। বড় জায়গা নিয়ে চলে এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। জঙ্গল থাকায় সমস্যা হতে পারে। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করছে। সেই কারণে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তাই পরিস্কার পরিছন্নর দিক থেকে পঞ্চায়েতের অসুবিধা হচ্ছে। ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা নেই। কিছু অব্যবহৃত আছে। মূল স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঠিকই আছে। প্রতিদিন চিকিৎসক থাকেন। সেই মতো রোগীদের বলে দেওয়া হয় কখন আসতে হবে।”

Next Article