Rachana Banerjee Video: ‘টিভিতে যেরকম মনে হয়, সেরকম একদমই না’, ভোটারের হাত হাতে লাগতেই যা করলেন রচনা…

Ashique Insan | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 21, 2024 | 5:28 PM

Rachana Banerjee: রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য মানুষ হুড়োহুড়ি করতে থাকেন। হাত বাড়িয়ে তাঁর সঙ্গে করমর্দনের চেষ্টা করেন। যে কোনও প্রার্থী, যাঁরা প্রচারের মাধ্যমে আদতে জনসংযোগই করতে চান, তাঁদের কাছে এটা একটা সুবর্ণসুযোগ!

Follow Us

 হুগলি: তিনি পর্দার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। বিকাল পাঁচটা বাজলেও যে শো দেখতে মুখিয়ে থাকেন বাংলার ‘দিদিরা’। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বাংলার মেয়েদের উন্মদনা কম নয়। তিনি মেয়েদের মনের কথা শোনেন। তাঁদের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। সেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলির প্রার্থী। একেবারে অন্য ভূমিকায়। বৃহস্পতিবার তিনি প্রচারে হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। প্রচারে তাঁর আসার কথা সকাল ৯টায়। সকাল থেকে রান্নাবান্না বন্ধ করে রাস্তার মোড়ে এসে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাড়ার মহিলারা। কারোর কোলে আবার বাচ্চা। সকলে একবার সামনাসামনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান।

ঘড়ির কাঁটা এগোতে থাকে। ন’টা থেকে দশটা, এগারোটা, সাড়ে এগারোটাও পেরিয়ে যায়। রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন মহিলারা। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে থাকে। বেলা বারোটা! রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেন। তাঁকে ঘিরে মারাত্মক উন্মাদনা। উচ্ছ্বাসের বাঁধ।

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য মানুষ হুড়োহুড়ি করতে থাকেন। হাত বাড়িয়ে তাঁর সঙ্গে করমর্দনের চেষ্টা করেন। যে কোনও প্রার্থী, যাঁরা প্রচারের মাধ্যমে আদতে জনসংযোগই করতে চান, তাঁদের কাছে এটা একটা সুবর্ণসুযোগ! রচনা এলেন, সকলের উদ্দেশে হাত নাড়ালেন। কিন্তু হাত মেলানোর ধার ধারলেন না! তাঁর দেহরক্ষীরা তাঁকে ঘিরে রাখলেন। হাত উঁচিয়ে সাড়া দিলেন রচনা, কিন্তু তাঁর মুঠো বন্ধ।

হাত করে রাখলেন মুঠো

যাতে তাঁর সঙ্গে কেউ হাত মেলাতে না পারেন, তার জন্য পাশে থাকা দলীয় কর্মী, দেহরক্ষীরা রচনার হাতও ধরে রাখেন।রচনা হাত মেলালেন না কারোর সঙ্গে। হাত বাড়ালেন বটে কিন্তু মুঠো বন্ধ করে। এতক্ষণ ধরে রোদ-বৃষ্টির দিনে দাঁড়িয়ে যাঁরা অপেক্ষা করেছেন, যাঁরা একবার প্রিয় নায়িকা-প্রার্থীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্পর্শ করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের মন ভাঙল! কেবল একবার চোখের দেখাই দেখলেন। কিন্তু তাঁদের দিকে ফিরে তাকাতেও দেখা গেল না। আর রচনার হাত মুঠো করমর্দন ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। এক মহিলা বললেন, “আমাদের সাতসকালে কত কাজ থাকে, ঘরের সব কাজ সেরে চলে এসেছিলাম। টিভিতেই দেখতাম রচনা দিদিকে। কিন্তু সামনে থেকে দেখতে পাবো ভাবিনি, এই ভেবেই গেছিলাম। চার ঘণ্টা পর এলেন। কিন্তু একবারও আমাদের দিকে ফিরেও তাকালেন না।” আরেক মহিলা বললেন, “সকাল নটায় আসার কথা ছিল। সাড়ে আটটার মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। বড় মানুষদের দেরি হতে পারেই। কিন্তু তা বলে চার ঘণ্টা! তবুও আমরা অপেক্ষা করেছিলাম, ভেবেছিলাম, দিদি একবার অন্তত হাত মেলাবেন, দেখবেন। কিন্তু কোথায় কী! যেরকমটা ভেবেছিলাম, সেরকম একদমই নন।” আরেক মহিলা বললেন, “হাতটা মুঠো করে রেখেছিলেন। পাশের একজন তো হাত ধরে রেখে দিয়েছিলেন। বুঝলামই না কেন! হাত মেলালে ক্ষতিটাই বা কী হত!”

 হুগলি: তিনি পর্দার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’। বিকাল পাঁচটা বাজলেও যে শো দেখতে মুখিয়ে থাকেন বাংলার ‘দিদিরা’। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বাংলার মেয়েদের উন্মদনা কম নয়। তিনি মেয়েদের মনের কথা শোনেন। তাঁদের জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। সেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলির প্রার্থী। একেবারে অন্য ভূমিকায়। বৃহস্পতিবার তিনি প্রচারে হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। প্রচারে তাঁর আসার কথা সকাল ৯টায়। সকাল থেকে রান্নাবান্না বন্ধ করে রাস্তার মোড়ে এসে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন পাড়ার মহিলারা। কারোর কোলে আবার বাচ্চা। সকলে একবার সামনাসামনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান।

ঘড়ির কাঁটা এগোতে থাকে। ন’টা থেকে দশটা, এগারোটা, সাড়ে এগারোটাও পেরিয়ে যায়। রাস্তায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন মহিলারা। ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙতে থাকে। বেলা বারোটা! রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেন। তাঁকে ঘিরে মারাত্মক উন্মাদনা। উচ্ছ্বাসের বাঁধ।

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখার জন্য মানুষ হুড়োহুড়ি করতে থাকেন। হাত বাড়িয়ে তাঁর সঙ্গে করমর্দনের চেষ্টা করেন। যে কোনও প্রার্থী, যাঁরা প্রচারের মাধ্যমে আদতে জনসংযোগই করতে চান, তাঁদের কাছে এটা একটা সুবর্ণসুযোগ! রচনা এলেন, সকলের উদ্দেশে হাত নাড়ালেন। কিন্তু হাত মেলানোর ধার ধারলেন না! তাঁর দেহরক্ষীরা তাঁকে ঘিরে রাখলেন। হাত উঁচিয়ে সাড়া দিলেন রচনা, কিন্তু তাঁর মুঠো বন্ধ।

হাত করে রাখলেন মুঠো

যাতে তাঁর সঙ্গে কেউ হাত মেলাতে না পারেন, তার জন্য পাশে থাকা দলীয় কর্মী, দেহরক্ষীরা রচনার হাতও ধরে রাখেন।রচনা হাত মেলালেন না কারোর সঙ্গে। হাত বাড়ালেন বটে কিন্তু মুঠো বন্ধ করে। এতক্ষণ ধরে রোদ-বৃষ্টির দিনে দাঁড়িয়ে যাঁরা অপেক্ষা করেছেন, যাঁরা একবার প্রিয় নায়িকা-প্রার্থীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্পর্শ করতে চেয়েছিলেন, তাঁদের মন ভাঙল! কেবল একবার চোখের দেখাই দেখলেন। কিন্তু তাঁদের দিকে ফিরে তাকাতেও দেখা গেল না। আর রচনার হাত মুঠো করমর্দন ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। এক মহিলা বললেন, “আমাদের সাতসকালে কত কাজ থাকে, ঘরের সব কাজ সেরে চলে এসেছিলাম। টিভিতেই দেখতাম রচনা দিদিকে। কিন্তু সামনে থেকে দেখতে পাবো ভাবিনি, এই ভেবেই গেছিলাম। চার ঘণ্টা পর এলেন। কিন্তু একবারও আমাদের দিকে ফিরেও তাকালেন না।” আরেক মহিলা বললেন, “সকাল নটায় আসার কথা ছিল। সাড়ে আটটার মধ্যে চলে গিয়েছিলাম। বড় মানুষদের দেরি হতে পারেই। কিন্তু তা বলে চার ঘণ্টা! তবুও আমরা অপেক্ষা করেছিলাম, ভেবেছিলাম, দিদি একবার অন্তত হাত মেলাবেন, দেখবেন। কিন্তু কোথায় কী! যেরকমটা ভেবেছিলাম, সেরকম একদমই নন।” আরেক মহিলা বললেন, “হাতটা মুঠো করে রেখেছিলেন। পাশের একজন তো হাত ধরে রেখে দিয়েছিলেন। বুঝলামই না কেন! হাত মেলালে ক্ষতিটাই বা কী হত!”

Next Article