Hooghly: ‘পুলিশ হোক আর নেতা হোক, গায়ে হাত তুললেই মারব’, ট্রাফিক পুলিশের কলার ধরে টানাটানি, গ্রেফতার একাধিক
Hooghly: জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের সামনে দুই বাইক আরোহীর সঙ্গে বচসা হয় এক ট্রাফিক পুলিশের। হেলমেট না পরায় বাইক আটকানো নিয়ে বচসা হয় বাইক আরোহীর সঙ্গে। সেই সময় চড় মারা হয় বলে দাবি বাইক আরোহী দুই তরুণের।

চুঁচুড়া: কয়েকদিন আগেই পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে কেন হেনস্থা করা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছিল তাঁদের পরিবার। এই আবহের মধ্যেই ফের একবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের সামনে ট্রাফিক পুলিশকে জামার কলার ধরে হেনস্থার অভিযোগ। ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। তবে এর সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা।
জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের সামনে দুই বাইক আরোহীর সঙ্গে বচসা হয় এক ট্রাফিক পুলিশের। হেলমেট না পরায় বাইক আটকানো নিয়ে বচসা হয় বাইক আরোহীর সঙ্গে। সেই সময় চড় মারা হয় বলে দাবি বাইক আরোহী দুই তরুণের।খবর পেয়ে দুই তরুণের পরিবার ও বন্ধুরা এসে পাল্টা ওই ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকে কলার ধরে টানাটানি করেন বলে অভিযোগ।
রাস্তায় ভিড় জমে যায়। ভাইরাল ওই ভিডিয়োতে দেখা যায় পরে চুঁচুড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমীর সরকার পুলিশ কর্মীকে উত্তেজিতদের হাত থেকে বাঁচিয়ে সরিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।
এই ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশের গায়ে হাত দেওয়ার জন্য প্রথমে পাঁচজনকে আটক করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট করে অভিযোগ দায়ের হয় বলে চুঁচুড়া থানায়। গ্রেফতার হয় পাঁচজন অভিযুক্ত। তাঁদের আদালতে তোলা হলে একজন মহিলা জামিন পান বাকিদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় চুঁচুড়া আদালত। অভিযুক্ত সকলেই চুঁচুড়ার বাসিন্দা।
বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, “এটা অন্যায়। এটা ঠিক নয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কখনওই উচিত নয়।” অভিযুক্ত যুবক বলেন, “এখানে তো অনেকে হেলমেট ছাড়া যাচ্ছে তাদের ধরল না। আমাদের ধরল। কারণ আমরা যুবক। উনি আমায় মারল। তাই আমরাও মেরেছি। কেন মারব না? পুলিশ হোক আর নেতা হোক, গায়ে হাত তুললেই মারব।”

