Kalyan Banerjee: ‘হাত কাটবি কী, হাত তোলার আগে হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব’, কাদের হুঁশিয়ারি কল্যাণের?

Kalyan Banerjee: “কোনও প্রকল্প থেকে আমাদের নাম যদি বাদ দিয়েছে যে হাতে নাম বাদ দেবে সেই হাত হাতে থাকবে না, গলায় ঝুলবে। তার ব্যবস্থা আমরা করব।" লোহাপুরের জনসভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছিল মীনাক্ষীকে।

Kalyan Banerjee: ‘হাত কাটবি কী, হাত তোলার আগে হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব’, কাদের হুঁশিয়ারি কল্যাণের?
তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2022 | 11:54 PM

হুগলি: ডিওয়াইএফআই-এর (DYFI) ২০ তম বীরভূম জেলা সম্মেলনে লোহাপুরের জনসভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ শানাতে দেখা যায় বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে (Minakshi Mukherjee)। রাজ্য সরকারের কোনও প্রকল্প থেকে উপভোক্তাদের নাম বাদ গেলে যিনি বাদ দেবেন তাঁর সেই হাত গলায় ঝুলিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে এবার নাম করে পাল্টা তোপ দাগতে দেখা গেল শ্রীরামপুর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Srirampur MP Kalyan Banerjee)। “আমি শুনতে পাচ্ছি অনেক নেতা নেত্রী বলছে,হাত কেটে ফেলে দেব। আমিও বলে দিচ্ছি হাত কাটবি কী, হাত তোলার আগে হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব।” এদিন এ ভাষাতেই তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে কল্যাণকে। 

প্রসঙ্গত লোহাপুরের জনসভায় এদিন শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষবাণ শানিয়ে মীনাক্ষী বলেন, “ওরা বলছে সিপিএমের সঙ্গে গেলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থেকে বাদ দিয়ে দেবে। এটা কী তৃণমূলের সম্পত্তি নাকি? এটা রাজ্য সরকারের প্রকল্প। রাজ্য সরকার নিজের মায়ের গলার সোনার হার বিক্রি করে টাকা দিচ্ছে না। আমার আপনার ট্যাক্সের টাকায় দিচ্ছে। আমাদের পয়সা থেকে দিচ্ছে। বরং এবার আমরা পাহারা দিচ্ছি। কোনও প্রকল্প থেকে আমাদের নাম যদি বাদ দিয়েছে যে হাতে নাম বাদ দেবে সেই হাত হাতে থাকবে না, গলায় ঝুলবে। তার ব্যবস্থা আমরা করব।” এদিকে কয়লা পাচার মামলা থেকে শুরু করে নিয়োগ কেলেঙ্কারি, একাধিক মামলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন বাম নেতারা। তাতেই যেন পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন করে অক্সিজেন পাচ্ছে বাম ব্রিগেড। তারমধ্যেই মীনাক্ষীর এই মন্তব্য নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছিল। 

অন্যদিকে এদিন কারও নাম না করেই কল্যাণ বলেন, “অনেক লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে।শুনে রাখো সিপিএম বিজেপি। আমি শুনতে পাচ্ছি অনেক নেতা নেত্রী বলছে,হাত কেটে ফেলে দেব আমিও বলে দিচ্ছি হাত কাটবি কী, হাত তোলার আগে হাত ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব।” এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন, “আমরাও সহজে আসিনি, মমতাদি বলেছেন তাই শান্ত আছি। অনেকে সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে সীমাহীন হয়ে গেলে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় সেটা আমরা জানি।” তবে এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কল্যাণ। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “ইডি-সিবিআইকে রেফারি করে ফাউলের খেলা খেলছ নরেন্দ্র মোদী। রেফারিকে হাত করে গোল করছ করো। কিন্তু ভুল করছ, ২০২৪ সালে তোমাকে ফিরে যেতে হবে গুজরাটে।”