হুগলি: সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা। টানাপোড়েন চলছিল দীর্ঘদিন থেকেই। কিন্তু, মিটছিল না সমস্যা। জল গড়িয়েছিল আদলতে। কিন্তু, সব পক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া হলেও একজনের সাক্ষ্যের অভাবে ঝুলে ছিল পুরো বিষয়টাই। কিন্তু, বয়সের কারণেই কিছু আদালতে যেতে পারছিলেন ১০৫ বছরের বৃদ্ধ। শেষ পর্যন্ত নাতি-নাতনিদের সাহায্যে আদালতে গেলেন তিনি। নেওয়া হল সাক্ষ্য। মামলার চূড়ান্ত শুনানি আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি।
হুগলির পোলবা থানার অন্তর্গত মেরিয়া এলাকায় থাকেন ১০৫ বছরের কালি কুমার বসু। কাজ করতেন রেলে। অবসর নিয়েছেন বহুকাল আগে। তাঁর জন্ম ১৯১৯ সালে। সূত্রের খবর, এই কালিবাবুর সঙ্গেই তাঁর শরিকদের একটি সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সমস্যা চলছিল বলে খবর। অভিযোগ, কালি বাবুর অনুমতি না নিয়েই তাঁর শরিকরা সম্পত্তির কিছু অংশ বেচে দেন। তা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। এদিকে আইন বলছে, সমস্ত শরিকদের অনুমতি বিনা কোনও সম্পত্তি বিক্রি করা যায় না। তা হলে তা আইন মেনেই ফের ফিরিয়ে দিতে হয়।
কালি বাবুর সেই সমস্যা নিয়ে মামলা হয়েছিল আদালতে। ২০১৭ সাল থেকে টানা চলছে সেই মামলা। কিন্তু, তিনি নিজে সাক্ষ্য দিতে পারছিলেন। অবশেষে এদিন চুঁচুড়ায় হুগলি জেলা আদালতের দ্বিতীয় সিভিল জজ সিনিয়র ডিভিশনের ঘরে সাক্ষ্য দেন। মনে করা হচ্ছে তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণের পর আর বিশেষ জটিলতা থাকবে না মামলায়। এখন দেখার ১৬ ফেব্রুয়ারির শুনানিতে কী রায় দেয় আদালত।