মগড়া: নবমীর রাত্রিবেলা তৃণমূল কর্মীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল দলেরই অপর সদস্যদের বিরুদ্ধে। সেই অপমান সহ্য করতে পারেননি তৃণমূল কর্মী অভিজিৎ অধিকারী। বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেন তিনি। রেখে যাওয়া সুইসাইড নোটে লিখে দেন চার অভিযুক্তের নাম। সেই ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত তিন তৃণমূল কর্মী।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন অভিযুক্তের নাম প্রবীর অধিকারী,বিশ্বজিৎ অধিকারী ওরফে পুচকে ও তাপস অধিকারী। রবিবার রাত্রিবেলা তাঁদের গ্রেপতার করে পুলিশ। সোমবার তিনজনকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। তবে অভিযুক্ত বুদ্ধদেব বাগ এখনো পলাতক। যদিও, তাপস অধিকারীর দাবি, তাঁকে ষড়ষন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি সব সময় মানুষের সঙ্গে থাকে। কোনও ভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
প্রসঙ্গত, নবমীর রাত্রিবেলা স্থানীয় একটি পুজো মণ্ডপে গিয়েছিলেন তৃণমূল কর্মী অভিজিৎ অধিকারী। মগড়া-২ গ্রামপঞ্চায়েতের গজঘণ্টা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকা তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। তাপস অধিকারী ওরফে ভুটানের নেতৃত্বে অভিজিতকে মারধর ও হেনস্থা করেন প্রবীর অধিকারী,বিশ্বজিৎ অধিকারী ওরফে পুচকে ও বুদ্ধদেব বাগ। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেন তিনি। সুইসাইড নোট লিখে রেখে যান। ইমামবাড়া হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্তের পর গতকাল সন্ধায় গজঘণ্টায় দেহ রেখে বিক্ষোভ শুরু করে মৃতের পরিজন ও এলাকাবাসী।