তারকেশ্বর: ফের শাসকদলের দলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এর জেরে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠল বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অপর গোষ্ঠীর চালানো গুলিতে আহত হলেন অপর এক তৃণমূলকর্মী। টাঙ্গির কোপে গুরুতর আহত ওই নেতার নাম শেখ সাইদুল মোল্লা। গুলির আঘাতে আহত হয়েছেন মুন্সি মুকাদ্দার। আহত অবস্থায় ২ জনকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় রেফার করা হয়েছে সাইদুল মোল্লাকে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার তারকেশ্বরের পিয়াসাড়ায়। এই গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।
গুরুতর জখম শেখ সাইদুল মোল্লার দাবি, পিয়াসারা বাসস্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানের সামনে বসেছিলেন তিনি। হঠাৎ কয়েকজন এসে তাঁর উপর টাঙ্গি দিয়ে আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে চায়ের দোকানের ভিতরে ঢুকে গেলে, সেখানেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকদিন ধরেই এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতৃত্বে তৃণমূলের নতুন সংগঠন তৈরি হয়েছে। তাঁরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ সাইদুলের।
অন্যদিকে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম মুন্সি মুকাদ্দার জানিয়েছেন, শেখ সাইদুল-সহ বেশ কয়েকজন পার্টি অফিস দখল করছিল। তিনি পার্টি অফিসের সামনে ছিলেন। হঠাৎ তাঁকে মারধর করে সাইদুল ও তাঁর দলবল। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিচালানোর অভিযোগও উঠেছে। গুলি গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ায় কোনও প্রাণে বাঁচেন তিনি। এর পর স্থানীয়রা সাইদুলকে মারধরে করেছে বলে দাবি মুকাদ্দারের।
এ বিষয়ে তারকেশ্বর তৃণমূল ব্লক সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায় বলেছেন, “পার্টি অফিস দখল ঘিরে গন্ডগোলের সূত্রপাত। এই বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।” যে চায়ের দোকানে সাইদুল মোল্লাকে কোপানো হয়েছে, সেই দোকানের মালিক বলেছেন, “বেশ কয়েক যুবক একটি বাইকে এসে সাইদুলকে এলোপাথাড়ি কোপ মারে এবং দোকানে ভাঙচুর চালায়।” ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী।