গোঘাট: এবার বেফাঁস মন্তব্য করে সংবাদে আরামবাগ (Arambag) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি। নিজেদের দলের পতাকার রঙ গুলিয়ে ফেলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পতাকার রঙ গেরুয়া’ আর তার এই বক্তব্যের পরই রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়।
গতকাল আরামবাগে একটি প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একটি স্মরণসভা আয়োজন করা হয়। তৃণমূলের প্রায় শতাধিক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন ওই সভায়। পাশাপাশি এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জয়দেব জানা, গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার, গোঘাট ১ নং বক্ল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নারায়ন চন্দ্র পাঁজা।
সেই সময় বক্তব্য রাখতে মঞ্চে ওঠেন তারকেশ্বরের বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি রামেন্দু সিংহ রায়। বলেন,”গোঘাটের মাটিতে আর কোন বিভাজন নয়, আমরা সবাই ভাই, আমরা সবাই এক, আমাদের পতাকার রং গেরুয়া।”
আর এই বক্তব্য রাখার সঙ্গে-সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মধ্যেই গুঞ্জন সৃষ্টি হয়। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন কর্মী সভা ছেড়েও বেরিয়ে যান।
যখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের দিকে আগমন হচ্ছে ঠিক তখনই রামেন্দু এই বক্তব্যে শোরগোল পড়ে গেছে কর্মীদের মধ্যে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। আরামবাগ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তথা পুড়শুড়া বিধায়ক বিমান ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন,”আসলে গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়িয়ে আছেন উনি। মনে মনে বিজেপিতেই রয়েছেন, তাই মুখ দিয়ে কথাটা বেরিয়ে গেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁরা অধিকাংশই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন।”
প্রসঙ্গত, গতকাল জেলা থেকে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের খবরও সামনে আসে। এক তৃণমূল নেতার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অপর এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় দীর্ঘক্ষণ তার স্ত্রীয়ের সামনেই চলে মারধর। আক্রান্ত নেতার নাম শেখ বেলাল। তিনি খানাকুলের পোল অঞ্চলের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে শেখ বেলাল নইমূল হকের অনুগামী হিসেবেই পরিচিত।
অন্যদিকে, খানাকূল ১ এর ব্লক সভাপতি ইলিয়াস চৌধুরী। তার সঙ্গেই এলাকা দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামলা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি নইমূল হকের সঙ্গে।
এরপর গতকাল রাতে সেই দ্বন্দ্বের কারণেই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ফাঁকা রাস্তায় পথ আটকায় ব্লক সভাপতির কয়েকজন অনুগামী।তার পরই লাঠি, বাঁশ ও রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। শেখ বেলালের স্ত্রী স্বামীকে বাঁচাতে যান। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। স্ত্রীয়ের সামনেই বেলালবাবুকে মারধর করে মাথা ও পা ভেঙে দেওয়া হয়। পরে মারধরের পর এলাকা ছেড়ে পালায় তারা।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: মুজিবুর- খুনিদের শেল্টার দেয়, পুরো বাংলার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে থাকা উচিত: শুভেন্দু