হুগলি: শুধুই অপেক্ষা আর অপেক্ষা। দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে আদৌ কোনও আশার আলো দেখা যাবে কি না, সেটাও কারও জানা নেই। এভাবেই ১৪ দিন কেটে গিয়েছে। আরও একটা রবিবার ফিরে এল, এখনও সেই একই আঁধারে রয়েছে শ্রমিকদের পরিবার। ৪১ জন শ্রমিক আলো-বাতাসহীন অন্ধকূপে বসে রয়েছেন। রোজই বলা হচ্ছে আর খুব শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে তাঁদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হচ্ছে না। প্রতিদিন উৎকন্ঠা আরও বেড়ে চলেছে হুগলির জয়দেব আর সৌভিকের পরিবারে।
প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখতে রাখতে বেড়েই চলেছে উদ্বেগ আর হতাশা। খাওয়া নেই, ঘুম নেই। কথা বলার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। আর কেউ কিছুই বলতে চাইছেন না। তাঁদের একটাই দাবি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যেন তাঁদের ছেলেকে বাড়ি ফেরানো হয়। জয়দেব ও সৌভিক আরামবাগের বাসিন্দা।
শনিবার সন্ধ্যায় জয়দেবের বাড়িতে যান আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। সেখানে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এদিন জয়দেবের বাবা তাপস প্রামানিকের চায়ের দোকানে যান অপরূপা। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তাঁদের বাড়িতে যান সাংসদ। জয়দেবের অসুস্থ মায়ের পাশে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে সান্তনা দেন অপরূপা। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উদ্ধারকাজ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর দাবি, কোনও ব্যবস্থা না রেখেই শ্রমিকদের দিয়ে দুর্গম জায়গায় কাজ করানো হচ্ছিল।