Kalyan Banerjee: পুলিশকে এখন সফট টার্গেট করা হচ্ছে: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

Sanath Majhi | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 01, 2024 | 6:03 PM

Hooghly: অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বলেন,"বতর্মান পরিস্থিতিতে পুলিশকে সফট টার্গেট করা হচ্ছে। যা কিছু হবে পুলিশকে ধর। কয়েকদিন আগে কলকাতার রাজপথে এক পুলিশ অফিসারকে রক্তাক্ত করেছিল একটি রাজনৈতিক দল।"

Kalyan Banerjee: পুলিশকে এখন সফট টার্গেট করা হচ্ছে: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

জঙ্গিপাড়া: আরজি করের ঘটনায় পুলিশকে সফট টার্গেট করা হচ্ছে। এটা কাম্য নয়। এরাই সমাজকে সুন্দর করে রেখেছে। পুলিশ দিবসে দাবি শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ জাঙ্গিপাড়া থানার সহযোগিতায় ডিএন হাইস্কুলে আয়োজন করা হয় পুলিশ দিবস অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়,মন্ত্রী স্নেহশিস চক্রবর্তী,ডিএম মুক্তা অর্য,হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশীস সেন সহ জেলার একাধিক পুলিশ কর্তা ও একাধিক ব্লকের বিধায়করা।

অনুষ্ঠান মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণ বলেন, “বতর্মান পরিস্থিতিতে পুলিশকে সফট টার্গেট করা হচ্ছে। যা কিছু হবে পুলিশকে ধর। কয়েকদিন আগে কলকাতার রাজপথে এক পুলিশ অফিসারকে রক্তাক্ত করেছিল একটি রাজনৈতিক দল।” সাংসদ আরও বলেন, “১৪ ই অগস্ট মহিলাদের যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে সন্মান জানাই। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মহিলারা যে ভাবে সামিল হয়েছিলেন তা প্রশংসনীয়। এটা রাজনৈতিক থাকলে সমাজের পরিবর্তন হত। কিন্তু দুটি বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি ও সিপিএম এই আন্দোলন কে চুরি করে নিল।”

সাংসদের বক্তব্য, “আমরা সবাই চাই মৃত্যুদণ্ড হোক। আন্দোলনটা ছিল বিকৃত মনস্ক পুরুষের বিরুদ্ধে। মেয়েদের নিরাপত্তা দিতেই হবে। মেয়েদের নিরাপত্তা দেওয়ার প্রথম দায়িত্ব কার ? মহিলাটির পাশে থাকা পুরুষটির,সে সহপাঠী,সহ যাত্রী,সহ কর্মী বা বাড়িতে থাকা পুরুষ হতে পারে প্রথম দায়িত্ব তাঁর।”

কল্যাণ বলেন, “প্রতিদিন দেশে ৯০ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে যা অত্যন্ত দুঃখের। প্রতিদিন যে যৌন নিগ্রহ বা অত্যাচার হচ্ছে তার পঞ্চাশ শতাংশ হচ্ছে বাড়িতে বা ডোমেস্টিক এলাকায়। তাহলে আসল দোষী সমাজের বিকৃত মনস্ক পুরুষ। আন্দোলনটা এদের বিরুদ্ধে হচ্ছিল কিন্তু একটা রাজনৈতিক দল আন্দোলনটাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিল। আর টার্গেট করা হল পুলিশকে ।পুলিশ এখন সফট টার্গেট,পুলিশ কে মারতে না পারলে,পুলিশকে গুলি করতে না পারলে পুলিশকে অত্যাচার করতে না পারলে আন্দোলন টা সার্থক হয় নাকি? যে কোনও আন্দোলনকে সার্থক করতে হলে আজকের বাংলায় পুলিশকে আগে মারতে হবে তবে না আন্দোলন সার্থক হবে অদ্ভুত ব্যাপার।”

কল্যাণ এও বলেছেন, “একজন পুলিশের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একজন মহিলা পুলিশ কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। কারা এই আদোলন করছেন যারা ১৪ ই আগস্ট আন্দোলন করেছিলেন তারা কী ভেবেছিলেন পুলিশ মেরে এই ভাবে আন্দোলন করবেন। নিশ্চয় চাননি।

রাজনৈতিক দলের টার্গেট হচ্ছে পুলিশ, যে কোনও আন্দোলনের টার্গেট হচ্ছে পুলিশ। আবার বিচারকদের কাছেও টার্গেট হচ্ছে পুলিশ। সব জায়গায় টার্গেট পুলিশ এটা কখনই কাম্য নয়। যাঁরা সমাজকে সুন্দর করে রেখেছে।পুলিশের পরিবার নিয়ে কেউ তো কখনো ভেবে না।”

 

Next Article
Kanchan Mallik: ‘যাঁরা কর্মবিরতি করছেন তাঁরা সরকারি বেতন নেবেন তো? বোনাস নেবেন তো?’ এবার ব্যাটন ধরলেন কাঞ্চন