Partha Chatterjee: ‘বেচা কী ভেবেছিল ঢোল বাজিয়ে মন্ত্রী হবে! আমি কী ভেবেছিলাম…!’ কেন এমন বললেন পার্থ?
Partha Chatterjee: “হুগলির মানুষ দেখেছে মশার কামর খেয়ে কী করে আন্দোলন মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে ছিলেন। সেদিন অনেকে ছিল। অনেকে আবার চলেও গিয়েছে”, হুগলীর মঞ্চ থেকে বললেন পার্থ।
চুঁচুড়া: সামনে ২১ জুলাই। বছর ঘুরতেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্য়ের নানা প্রান্তে কর্মিসভা করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের প্রথমসারির নেতৃত্বদের। এবার সেরকরমই একটি সভার আয়োজন করা হয় হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবনে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য়ের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। সেখান থেকেই দুই নেতা দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে নানা বার্তা দেন।
এগারো বছরেরও বেশি তৃণমূল কংগ্রেস সরকারে আছে। অনেক আন্দোলন,ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। কিন্তু, তারপরেও দলের অন্দরে কিছু ক্রুটি-বিচ্যুতি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে বলে মত পার্থর। তা নিয়ে এদিন কর্মিসভার মঞ্চ থেকে কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কার্যত আক্ষেপের সুরে এদিন তিনি বলেন, ”অনেকেই দলে এসেই বলে পঞ্চায়েতে কবে দাঁড়াব,জন প্রতিনিধি কবে হব! অর্থাৎ আমি জন প্রতিনিধিত্ব হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দল করছি, নিজের জন্য দল করছি, মানুষের জন্য দল করছি না। এই পরিবর্তন কিন্তু কাক্ষিত পরিবর্তন নয়।”
এখানেই না থেমে পার্থ আরও বলেন, “হুগলির মানুষ দেখেছে মশার কামর খেয়ে কী করে আন্দোলন মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে ছিলেন। সেদিন অনেকে ছিল। অনেকে আবার চলেও গিয়েছে। অনেকে সাদা জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পরেছে। তবে মানুষের জন্য একটা কাজ করেছে দেখাতে পারবেন না। যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলে করেছেন। যা কিছু রাজনৈতিক ইতিহাস তৈরি হয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই। সরকার এগারো বছরের কাজের মধ্যে দিয়ে যে উন্নয়ন করেছে। বেচা কোনওদিন ভেবেছিল ঢোল বাজিয়ে মন্ত্রী হবে। আমি কোনওদিন ভেবেছিলাম আমি মন্ত্রী হব! তবু আমি বিরোধী দলনেতা ছিলাম।ক্যাবিনেট পর্যায়ে মন্ত্রীর মর্যাদা ছিল।কিন্তু কে মানত!” প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল পার্থর। সিবিআই জেরার মুখেও পড়েছিলেন। ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছিল সরকারের। সে কারণেই কী খানিক আত্মসমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে পার্থকে? নাকি ফের মমতার কাছের পাত্র হতে ফের করছেন স্তুতি? এ প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে।