Civic Volunteer: প্রাণ বাজি রেখে ডাকাতি রুখলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 10, 2021 | 3:59 PM

Crime News: নিজেদের প্রাণ বাজি রেখে ডাকাতি রুখলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। রানা দত্ত ও দেবারুণ দত্ত নামে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের মার খেলেন, মাথা ফাটল। তবু সম্পূর্ণ নিরস্ত অবস্থায় ডাকাতি রুখলেন তাঁরা।

Civic Volunteer: প্রাণ বাজি রেখে ডাকাতি রুখলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার
ডাকাতি রুখলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

হুগলি: নিজেদের প্রাণ বাজি রেখে ডাকাতি রুখলেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteer)। রানা দত্ত ও দেবারুণ দত্ত নামে দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের মার খেলেন, মাথা ফাটল। তবু সম্পূর্ণ নিরস্ত অবস্থায় ডাকাতি রুখলেন তাঁরা। এখন অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন তাঁরা। দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের সাহসিকতার জন্য তাঁদের ভূয়সী প্রশংসা করছেন এলাকাবাসী।

বলাগড়ের জিরাট। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই থানার সিভিক ভলান্টিয়ার রানা দত্ত ও দেবারুণ চক্রবর্তী জিরাটস্টেশন রোডে ইউকো ব্যাঙ্কে নাইট ডিউটিতে ছিলেন। মঙ্গলবার রাত তখন গভীর। একটি সোনার দোকানের সাটার ভাঙার আওয়াজ পান দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁরা দেখেন, সাটার কাটার তোড়জোড় শুরু করেছে দুষ্কৃতীরা। ঝাঁপিয়ে পড়ে ডাকাতদলকে বাধা দেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। এদিকে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় দুষ্কতীরা সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ওপর চড়াও হয়। শুরু হ য় মারধর। মারের চোটে রানা দত্ত নামে সিভিক ভলেন্টিয়ার মাথা ফাটে। বাঁশ দিয়ে তাঁর মারতেই সেখানেই বসে পড়েন তিনি। তাঁর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। অন্যদিকে দেবারুণের কাঁধে চোট লাগে।

সম্পূর্ণ নিরস্ত অবস্থায় দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে তাঁরা কোনও ভাবেই পেরে উঠবেন না বুঝতে পেরে এরপর সবাইকে জাগানোর জন্য চিৎকার শুরু করেন দুই সিভিক ভলান্টিয়ার। চিৎকার করে তাঁরা ছুটতে থাকেন বাস স্ট্যান্ডের দিকে। তাঁদের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে পড়েন স্থানীয় ব্যবসায়ী দীব্যেন্দু সমাদ্দার। লোক জড়ো হয়। এর পর অবস্থা বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

দীব্যেন্দু বলেন, “রাস্তার পাশে আমার দোকান। দোকানের উপরে বাড়ি। রাত তখন দুটো- আড়াইটে হবে। হঠাৎ ‘মেরে ফেলল’ চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে পড়ি। সিভিক ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন ডাকাত পড়েছে। আমাদের ব্যবসায়ী সমিতির রাত পাহারার ব্যবস্থা আছে। তাই দুজন পাহারাদার ঘটনাস্থলে চলে আসে। খবর দেওয়া হয় বলাগড় থানায়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে পুলিশ চলে আসে।”

ততক্ষণে অবশ্য ডাকাতরা গা ঢাকা দিয়েছে। আহত রানাকে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।তার মাথায় ১৪টা সেলাই পড়েছে। রানা বাবুর কথায়, “অন্ধকার ছিল। একটা আওয়াজ পেয়ে ছুটে যাই। আমাদের দেখেই কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওরা। কতজন ছিল তা দেখতে পাইনি ঠিকভাবে। স্টেশন বাজারে সোনার দোকান জগদীশ কর্মকারের। তাঁর দোকানেই ডাকাতি করতে এসেছিল দুষ্কৃতীরা।”

জগদীশ বাবু বলেন, “আমি ভোর বেলায় খবর পাই। দোকানে এসে দেখি সাটার কিছুটা তোলা। তবে কোলাপসিবল গেট ভাঙতে পারেনি। সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য আমার কোনও ক্ষতি হয়নি।” দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজের প্রশংসা করেন এলাকাবাসী। তবে এলাকার ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবারের ঘটনায় আতঙ্কিত-ও বটে। স্টেশন রোডে পর্যাপ্ত আলো লাগানোর জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: Kunal Ghosh On Suvendu Adhikari: ‘নন্দীগ্রাম দিবসে’ শুভেন্দুর জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে কদর্য আক্রমণ কুণালের, শুরু রাজনৈতিক চর্চা

Next Article