AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arambagh School: ‘দেখে মনে হবে যেন দিঘায় এসেছি’, নাতিকে কোলে করে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দাদু

waterlogging in Arambagh school: অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ চার মাস ধরে স্কুল বাউন্ডারির ভিতরে ও বাইরে হাঁটু সমান জল পেরিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। নোংরা-পচা জলের কারণে চর্মরোগের প্রকোপও বাড়ছে।

Arambagh School: ‘দেখে মনে হবে যেন দিঘায় এসেছি’, নাতিকে কোলে করে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দাদু
বেহাল দশা স্কুলের Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2025 | 9:36 PM
Share

আরামবাগ: বৃষ্টি হলেই জমে জল। কিছুদিন আগেই দফায় দফায় বৃষ্টিতে রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখন নোংরা-পচা জমা জল পেরিয়ে জুতো হাতে করে স্কুলে আসছে পড়ুয়ারা। যা দেখে অভিভাবকরা বলছেন, স্কুলটা তো দিঘায় পরিণত হয়েছে। হুগলির পুরশুড়ার ঘোলদিগড়ুই ১ নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই চরম বেহাল অবস্থা শোরগোল এলাকাতেও। 

অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘ চার মাস ধরে স্কুল বাউন্ডারির ভিতরে ও বাইরে হাঁটু সমান জল পেরিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের ভিতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। নোংরা-পচা জলের কারণে চর্মরোগের প্রকোপও বাড়ছে। তাতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। শুধু তাই নয়, বেহাল দশা স্কুল বিল্ডিংয়েরও। বৃষ্টি হলেই জল চুঁইয়ে পড়ে ক্লাস রুমের মধ্যে। দীর্ঘদিন স্কুল ক্যাম্পাসে জল জমে থাকার কারণে বিষাক্ত পোকা মাকড়ও বেড়ে চলছে। অভিভাবকরা বলছেন, বিষধর সাপের দলও ঘুরছে। 

অভিভাবকদের অভিযোগ, অবস্থা এতটাই বেহাল যে ছাত্র-ছাত্রীদের পায়ে হাজা, চুলকানি থেকে নানাবিধ সংক্রমণ হচ্ছে। জ্বর-সর্দি তো লেগেই রয়েছে। তাঁরা কাঠগড়ায় তুলছেন প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই। স্থানীয় ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত সকলেই নিরব। দ্রুত এলাকার নিকাশি-নালা সংস্কারের দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। সকলেই চাইছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক।

ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবক থেকে শিক্ষকদের মধ্যে 

এদিকে বাধ্য হয়ে নাতিকে তো কোলে করেই ক্লাসরুমে পৌঁছে দিচ্ছেন অসিত বেরা। খোঁচা দিয়েই তিনি বলছেন, “দেখে মনে হবে যেন দিঘায় এসেছি। নাতিকে সপ্তাহে একদিন থেকে দু’দিন নিয়ে আসি স্কুলে। ভয় করে খুব। স্কুলে তো সাপ ভাসছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তো সব দেখছেন। আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র তিনমাস হয়ে গেল, কিন্তু কাজের কাজ তো কিছুই হচ্ছে না।” ক্ষোভ বেড়েছে শিক্ষকদের মধ্যেও। স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা সঙ্গীতা মাইতি বলছেন, “মিড ডে মিল নিয়ে ভয়ে আছি। পানীয় জল নিয়ে আমরা ভয়ে আছি। ছাত্রদের তো সংক্রমণ হতে পারে। কিছু হয়ে গেলে তো আমাদেরকেই সবাই দায়ী করবে।”