হুগলি: তৃণমূলের বুথ সভাপতির স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। শনিবার এই ঘটনা ঘটে আরামবাগে। অভিযোগ, ওই মহিলার চুলের মুঠি ধরে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে মারধর করেন তিন যুবক। তাঁরা বিজেপির লোক বলেও অভিযোগ আক্রান্ত মহিলার। তাঁর দাবি, স্বামী এবার স্থানীয় এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হয়েছেন। সে কারণেই এই হিংসার শিকার হতে হল তাঁকে। যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে। বরং তাদের দাবি, এই ঘটনা একেবারে পারিবারিক দ্বন্দ্বের ফল। তাতে অকারণে রাজনীতির রং মেশানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরামবাগের আড়ান্ডি-২ অঞ্চলের রাগপুরে বাড়ি ওই বুথ সভাপতির। শনিবার বিকেলে তাঁর বাড়িতেই হাজির হন তিন যুবক। ওই মহিলার কথায়, “চুলের মুঠি ধরে প্রথমে আমাকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যায়। সেখানেই মারধর করে। আমার স্বামী তৃণমূল করে বলে আমাকে মারল। বলল স্বামীকে সাবধান করে দে। এসব থেকে দূরে থাকতে বল।” ভোটের আগে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আক্রান্তের স্বামী পঞ্চায়েত সমিতিতে যে প্রার্থী হয়েছে তার নির্বাচনী এজেন্ট। সেই রাগেই এটা করল। বিজেপির দুষ্কৃতীরা মেরেছে। বলেছে বর যেন এজেন্ট না হয়। আমরা খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে যাই। থানাতেও জানাই।”
যদিও আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগ বলছেন, “যে ছেলেটির নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, সে সারাদিন আমাদের প্রচারে ছিল। এটা পারিবারিক দ্বন্দ্ব। ইচ্ছা করে এতে রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে। আসলে আমরা পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে প্রার্থী দিয়েছি বলে এসব করছে।”