Recruitment Scam: ডান্সবারে চাকরি কেনা-বেচা? ‘রঙিন’ শাহিদের ‘কালারফুল’ কাণ্ড কারখানা মাথা ঘুরিয়ে দেবে…

Tanmoy Bairagi | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 18, 2023 | 3:58 PM

Hooghly: সূত্রের খবর, বর্ধমানের এক পানশালায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল আরামবাগের 'মহারাজ'-এর। সেখানেই আলো আঁধারির খেলা আর নাচ-গান-লাস্যের মাঝে চলত চাকরির 'কেনা বেচা'।

Recruitment Scam: ডান্সবারে চাকরি কেনা-বেচা? রঙিন শাহিদের কালারফুল কাণ্ড কারখানা মাথা ঘুরিয়ে দেবে...
মিউজিক ভিডিয়ো থেকে প্রাপ্ত ছবি।

Follow Us

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরামবাগের শাহিদ ইমাম। শাহিদ গ্রেফতারের পর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। শাহিদ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের কাছে একটি স্কুলে পড়াতেন বলে জানা যায় প্রথমে। গ্রেফতারির পর ২৪ ঘণ্টা কাটেনি। একের পর এক ‘রঙিন’ দিক উঠে আসছে শাহিদ ওরফে শুভম ওরফে মহারাজের নামে। একাধিক মিউজিক ভিডিয়োতে কাজ করেছেন শাহিদ। বলিউডের রাখি সাবন্তের সঙ্গেও কাজ করেছেন মুম্বইয়ে গিয়ে। টলিপাড়ার পরিচিত নায়িকার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। এসবের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোটি কোটি টাকার চাকরির ডিলও করতেন বলেই সিবিআই সূত্র মারফত খবর। আর এবার জানা যাচ্ছে, বর্ধমানের একটি ডান্সবারে গিয়ে চলত এই চাকরির ডিল।

সূত্রের খবর, বর্ধমানের এক পানশালায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল আরামবাগের ‘মহারাজ’-এর। সেখানেই আলো আঁধারির খেলা আর নাচ-গান-লাস্যের মাঝে চলত চাকরির ‘কেনা বেচা’। এমনও সূত্রের দাবি, ওই পানশালায় চাকরিপ্রার্থীদেরও নিয়ে যাওয়া হতো। সরাসরি সেখানে বসেই চলত চুক্তি। এরপর সেখান থেকে আনা হতো কলকাতায়।

সূত্রের দাবি, শাহিদ ইমাম আরামবাগের একজন এজেন্ট। জেলায় প্রাথমিক স্কুলে পড়াতেন তিনি। এলাকার লোকজনের দাবি, প্রাথমিকের শিক্ষক হলেও নিত্যনতুন বিলাসবহুল গাড়িতে তাঁর যাতায়াত ছিল। আজ একটা গাড়ি, ১৫ দিন যেতে না যেতেই অন্য গাড়ি হাঁকিয়ে এলাকায় ঢুকতেন। সূত্রের খবর, শাহিম ইমামেরও নীচের স্তরে এজেন্ট ছিল। লেনদেনে তাঁদের ভূমিকাও কম নয়। শনিবারই নিজাম প্যালেসে সিবিআই ১০ জন এজেন্টকে ডেকে পাঠিয়েছেন। শাহিদ ইমামের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।

২০১১ সালের আগে আরামবাগের মুথাডাঙা এলাকায় শাহিদ ইমাম একটি ওষুধের দোকান চালাতেন। পরে সেই দোকান বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালে চাকরি পান স্কুলে। তারপর ফুলে ফেঁপে ওঠে তাঁর প্রতিপত্তি। ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ হুগলি জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। সিবিআই জানতে চায়, এরপরই চাকরির ডিল করা শুরু করেন তিনি? সমস্ত উত্তরের খোঁজে সিবিআই জেরা করছে তাঁকে।

Next Article