আরামবাগ : ওষুধের দোকান চালাতে চালাতে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি। তারপর বছর কয়েকেই একাদিক বিলাসবহুল বাড়ির মালিক হয়ে ওঠেন শাহিদ ইমাম । হুগলির এই তৃণমূল যুবনেতার গ্রেফতারিকে অবাক হচ্ছেন বিরোধীরা। শাহিদের বাবাও ছিলেন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। তবে, তাঁকে এখনও সম্মানের চোখে দেখেন এলাকার বিরোধী দলের নেতারাও। তাঁর ছেলে হয়ে শাহিদ কীভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাকরির নামে টাকা নিলেন, সেই প্রশ্নই তুলছেন তাঁরা। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে শাহিদ ইমামকে।
বিজেপি কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘হাসান ইমাম একজন খুব ভাল মানুষ ছিলেন। তাঁর নাম, যশ ছিল। তিনি বিরোধী দলের লোক হলেও আরামবাগে তাঁর সম্পর্কে সুখ্যাতি রয়েছে। তিনি একজন প্রকৃত শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ছেলে শাহিদ ইমাম এত তাড়াতাড়ি তাঁর বাবার সব যশ খ্যাতিকে মাটিতে মিশিয়ে দেবেন এটা ভাবা যাচ্ছে না।’ বিজেপি নেতার দাবি, শাহিদ ইমাম বাবার একেবারে বিপরীত। নিয়োগের নামে টাকা লুটে সেই টাকা দিয়েই বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন বলেও শাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপি নেতার।
সিপিএম নেতা পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘তৃণমূলের আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। শিক্ষা দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছে, স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তুলেছে। এই তৃণমূল দলে যারা যত বেশি অপরাধমূলক কাজ করতে পারবে এবং বাজার থেকে টাকা তুলে দিতে পারবে সে তত বড় পদ পাবে। এটা একটা সংগঠিত অপরাধ। আগেই এদেরকে গ্রেফতার করা উচিত ছিল।
জানা গিয়েছে, মুম্বইতে গিয়ে অভিনয়ও করতেন এই শাহিদ ইমাম। বিরোধী নেতারা বলছেন, শিক্ষকের চাকরি করে কীভাবে এত ঠাটবাট হল, তাতে প্রশ্ন উঠেছে আগেও। তবে চাকরি বিক্রির অভিযোগের কথা সামনে আসেনি।