Locket Chatterjee: পঞ্চায়েত ভোটে রক্তগঙ্গা বইলে আমরা তো বরণডালা নিয়ে বসে থাকব না : লকেট
BJP: ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন বনগাঁর বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপির একজন কার্যকর্তাও রক্তাক্ত হলে বিজেপি পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের ধরে ধরে রক্তাক্ত করবে।
হুগলি: পরের বছর রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। ইতিমধ্যেই পারদ চড়তে শুরু করেছে সেই ভোটকে ঘিরে। সিঙ্গুরে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় যখন হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা হলে, ভোটে রক্ত ঝরলে বিজেপিও ছেড়ে কথা বলবে না। তখন তারই পাল্টা তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষকে বলতে শোনা যাচ্ছে, একটা দল যাদের কিছুদিন আগে ভোটে জমানত জব্দ হয়েছে। ওদের কথার গুরুত্ব দেওয়ারই তো কিছু নেই।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন বনগাঁর বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপির একজন কার্যকর্তাও রক্তাক্ত হলে বিজেপি পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের ধরে ধরে রক্তাক্ত করবে। বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরে দলীয় এক কর্মসূচিতে গিয়ে দলীয় নেতার সেই বক্তব্যকেই কার্যত সমর্থন জানান হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
লকেট বলেন, “রক্তগঙ্গা বইলে তো আমরা তাদের পুজো করতে পারি না বরণডালা নিয়ে। আমাদেরও তো তার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। ভোটে রক্তারক্তি তো ওরাই শুরু করেছে। পঞ্চায়েতে রক্তারক্তি, বোমাবাজি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া, খুনখারাপি তারাই তো শুরু করেছে। কোনও বিরোধী থাকুক চায় না ওরা। এভাবে তো চলতে পারে না। মানুষের আওয়াজ বিজেপি তো তুলবেই। তাকে মান্যতা দিয়ে ভোট করতে গেলে বিজেপিকে তো রক্তারক্তির বদলে রক্ত ঘাটতেই হচ্ছে না?”
এরই পাল্টা তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ বলেন, “বিজেপির কথা কেউ শোনে না এখন আর। ওদের জমানত বিধানসভায় বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে, পুরভোটে বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। কিছু না কিছু বলে তো খবরে থাকতে হবে। তাই ওরা মানুষকে উস্কে দিতে চাইছে। ‘বুকের মাঝখানে গুলি করে দেওয়া উচিৎ’, ‘মহিলারা তৃণমূল কংগ্রেসের মা বোনেরা সবাই থান পরে থাকবে’ এই কথাগুলো বিজেপি বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্তপাত করে ভোট পেতে হয় না।”
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “এখনও পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। সময় আছে কিছুটা। বিজেপি কিন্তু হিংসার বাণী ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। আমরা দেবদাস মণ্ডল নামে এক মাঝারি বিজেপি নেতার মুখে শুনেছি রক্তের বদলে রক্ত। এবার লকেট বলছেন বরণডালা নিয়ে থাকব না, রক্তের বদলে রক্ত আমরাও দেখে নেব। এখনও ভোটের কিছুই হয়নি। অথচ ওরা কিন্তু হিংসার রাস্তায় যাওয়ার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে। উস্কানি দিচ্ছে, সারা বাংলাকে অশান্ত করছে। বিজেপির এই হিংসামূলক রাজনীতির বাংলায় জায়গা নেই। বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের এই হিংসার রাজনীতিকেও প্রত্যাখ্যান করবে।”