Died: কনের সাজেই শেষ শয্যায় যুবতী, ছোট্ট দু’টো হাত ছুঁয়ে আছে মায়ের নিথর মুখ…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 09, 2022 | 10:14 PM

Hoogly News: জলপাইগুড়ির মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাম। দু'বছর আগে হুগলির পোলবার গোস্বামী মালিপাড়ার সুচিন্ত্য নন্দীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। চুঁচুড়ার রাম মন্দির এলাকায় ভাড়া থাকতেন তাঁরা।

Died: কনের সাজেই শেষ শয্যায় যুবতী, ছোট্ট দুটো হাত ছুঁয়ে আছে মায়ের নিথর মুখ...
স্বামীর সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা। পারিবারিক অ্যালবাম থেকে।

Follow Us

হুগলি: পোলবার কমিউনিটি হেলথ অফিসারের (সিএইচও) মৃত্যুতে তদন্তের নির্দেশ দিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। গত ৫ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়ার একটি নার্সিংহোমে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন সিএইচও প্রিয়াঙ্কা নন্দী (২৬)। তার পরদিনই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগ আনে প্রিয়াঙ্কার পরিবার। অপারেশন থিয়েটার থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, সমস্ত বিষয় নিয়েই অভিযোগ তোলে নিহতের পরিবার। একইসঙ্গে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর আগে যে সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা করানো অত্যাবশ্যক, তাও করাননি চিকিৎসকরা। নার্সিংহোমের গাফিলতিতেই প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু হয়েছে বলে শুক্রবার হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়্যার কাছে অভিযোগ জানান নিহতের স্বামী সুচিন্ত্য নন্দী। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়্যা জানান, তাঁরা অভিযোগ পাওয়ার পরই সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর নোটিস ধরিয়েছেন। ডেপুটি সিএমওএইচ (১) জয়রাম হেমব্রম ও স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবযানী বসু মল্লিকের নেতৃত্বে একটি দল ইতিমধ্যেই নার্সিংহোমে ঘুরে এসেছে।

জলপাইগুড়ির মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাম। দু’বছর আগে হুগলির পোলবার গোস্বামী মালিপাড়ার সুচিন্ত্য নন্দীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। চুঁচুড়ার রাম মন্দির এলাকায় ভাড়া থাকতেন তাঁরা। ২০২১ সালে পোলবা ব্লকে কমিউনিটি হেলথ অফিসার পদে কাজে যোগ দেন প্রিয়াঙ্কা। তার আগে চুঁচুড়া জেলা হাসপাতালে স্টাফ নার্স হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। সুচিন্ত্যও শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী। ফার্মাসিস্ট পদে রয়েছেন তিনি।

জানা গিয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ছেলের জন্ম দেন প্রিয়াঙ্কা। সিজারের পরই প্রিয়াঙ্কার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে বলে পরিবারের অভিযোগ। তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালের আইসিইউয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ২টোয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরদিন সকাল সাড়ে ৯টায় মারা যান তিনি।

প্রিয়াঙ্কার শ্বশুর স্বপন নন্দী বলেন, “বৌমাকে মেয়ের মতো ভালোবাসতাম। খুব বলতাম ঘরে একটা গোপাল আসুক। সেদিন ছেলে ফোন করে বলল, বাবা তুমি গোপাল চেয়েছিলে তোমার গোপাল এসেছে। পরদিনই সকালে বাড়িতে খবর এল বৌমা আর নেই। ডাক্তারদের গাফিলতি তো নিশ্চয়ই আছে। নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচারের জন্য ভাল ওটিও নেই। ইসিজি বা হার্টের কিছু পরীক্ষানিরীক্ষাও করেনি ডেলিভারির আগে। অথচ আমরা জানি, যে কোনও অপারেশনের আগে ডাক্তারি কিছু পরীক্ষা করতে হয়।”

Next Article