Arrest One: ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স দেখেই সন্দেহ হয়েছিল, এরপরই ফাঁস হল ছেলের জারিজুরি…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 27, 2022 | 5:12 PM

Hoogly: মহম্মদ রাজা ওয়েস্ট বেঙ্গল ফার্মাসি কাউন্সিলের শংসাপত্র জমা দেন হুগলি ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে। সেই শংসাপত্র খতিয়ে দেখতেই জানা যায় শংসাপত্রটি জাল।

Arrest One: ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স দেখেই সন্দেহ হয়েছিল, এরপরই ফাঁস হল ছেলের জারিজুরি...
ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স নিতে গিয়ে গ্রেফতার।

Follow Us

হুগলি: ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স নিতে গিয়েছিলেন এক যুবক। শংসাপত্র বের করতেই সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের। এরপরই কথায় কথায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। দেখা যায় মহম্মদ রাজা নামে মুর্শিদাবাদের ওই যুবকের শংসাপত্র ভুয়ো। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় চুঁচুড়া ফার্ম সাইড রোডে হুগলি জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে যান মহম্মদ রাজা। ফার্মাসিস্টের লাইসেন্স নেবেন বলে যান তিনি। ফার্মাসি কাউন্সিল থেকে যে শংসাপত্র দেওয়া হয় সেই শংসাপত্র ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে দেখিয়ে ফার্মাসিস্টের ছাড়পত্র পাওয়া যায়।

মহম্মদ রাজা ওয়েস্ট বেঙ্গল ফার্মাসি কাউন্সিলের শংসাপত্র জমা দেন হুগলি ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসে। সেই শংসাপত্র খতিয়ে দেখতেই জানা যায় শংসাপত্রটি জাল। নিয়ম অনুযায়ী, একটি শংসাপত্র একজন ফার্মাসিস্টই ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শংসাপত্রের পিছনে কোন ওষুধের দোকানে সেটি ব্যবহার হবে তা লিখে সিলমোহর মেরে দেওয়া হয়। কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারের সইও থাকে সেখানে।

সেই সই দেখে সন্দেহ হয় ড্রাগ কন্ট্রোল অফিসের। হুগলি জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর নীলেন্দু মণ্ডল জানান, প্রশংসাপত্র দেখেই খটকা লাগে তাঁদের। এরপর ভালভাবে খতিয়ে দেখা হয় সেটি। কম্পিউটারে তথ্য যাচাই করা হয়। তাতেই বিষয়টি নিয়ে ধন্দ আরও জোরাল হয়। এরপরই ওই যুবককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, টালিগঞ্জের একটি কলেজ থেকে ফার্মাসি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

তাঁর এই শংসাপত্রটি এর আগে কলকাতার একটি দোকানে ব্যবহার করেছেন বলেও জানান। এরপরই চুঁচুড়া থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এর পিছনে বড়সড় কোনও চক্র কাজ করছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতকে শনিবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চায়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই জালিয়াতির শিকড় বহুদূর গিয়েছে। রীতিমত একটা চক্র কাজ করছে। এমনও তাদের অনুমান, এই ধরনের শংসাপত্র কাজে লাগিয়ে লাইসেন্স বের করে তা ভাড়া দেওয়া হয়। সবদিক খোলা রেখেই চলছে তদন্ত।

Next Article