হুগলি: জার্মানির ছেলের বাঙালি বউ। দেশ কালের সীমা পার করে মন দেওয়া নেওয়া। কিছুদিন চুটিয়ে প্রেম, তারপরই একেবারে ছাদনাতলায় গিয়ে বসলেন দু’জন। চার হাত এক হল এক আলো ঝলমলে সন্ধ্যায়। চুঁচুড়ার ত্রিয়া ঘরণী হলেন জার্মানির ড্যানিয়েলের। আলো ঝলমলে এক সন্ধ্যায় বাঙালি মতে চার হাত এক হল। দেশকালের সীমা পার করে মিলল দু’টি মন, মিলন হল দুই আত্মার।
আট বছর আগের কথা। পড়াশোনার জন্য হুগলির চুঁচুড়া স্টেশন রোডের পল্লিশ্রীর বাসিন্দা ত্রিয়া চট্টোপাধ্যায় জার্মানিতে যান। সেখানে এক জায়গায় ইন্টার্নশিপ করছিলেন তিনি। সেই সময় পরিচয় হয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে। ড্যানিয়েলের দেশে তখন ত্রিয়া অতিথি। ধীরে ধীরে বিদেশিনীর প্রেমে পড়েন ড্যানিয়েল। পরিবারের সম্মতিতেই সেই সম্পর্ক পৌঁছয় বিয়ের মণ্ডপে।
দু’দিন ধরে মহেশপুরের একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বসে বিয়ের আসর। মঙ্গলবার বাগদান পর্বের পর বুধবার চার হাত এক হয় তাঁদের। বিয়ের অনুষ্ঠানে বাংলার সংস্কৃতির লোকগান থেকে আদিবাসী নৃত্য, ব্রতচারী নাচ, বাউল গান সমস্ত কিছুই ছিল। জার্মানি থেকে বিয়ে উপলক্ষে এসেছিলেন ড্যানিয়েলের পরিবারের লোকজন ও বন্ধুবান্ধব। বাংলার সংস্কৃতির সবটুকু উপভোগ করেন তাঁরা। বিয়ের সাজে ত্রিয়া টুকটুকে রাঙা বউ। মাথায় মুকুট, লাল চেলি, লাল বেনারসি আর বাঙালি কনের সবথেকে বড় অলঙ্কার এক গাল হাসি। ড্যানিয়েলও ধুতি, পাঞ্জাবিতে সকলের নজর কাড়েন। ড্যানিয়েলের বাড়ির লোকজনও বাঙালি পোশাকে সাজেন বিয়ের দিন। বাগদান ও বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে বৃহস্পতিবারই নবদম্পতি পাড়ি দেন জার্মানির উদ্দেশে।