হুগলি: স্ত্রীর জন্য শাড়ি কিনতে এসেছিলেন তিন যুবক। এরপরই ঘরে ঢুকে ব্যবসায়ী বধূকে মারধরের পাশাপাশি টাকা, সোনার দুল নিয়ে চম্পট দেন বলে অভিযোগ। এমনকী ওই মহিলার গলায় ছুরি পর্যন্ত ধরা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জাঙ্গিপাড়ার পর এবার ঘটনাস্থল সিঙ্গুর। গৃহবধূকে মারধর করে লুঠপাটের অভিযোগ সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়ার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায়। অভিযোগকারী গৃহবধূর নাম শকুন্তলা মণ্ডল। সোমবারের এই ঘটনায় সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দিনে দুপুরে রোমহর্ষক এই ঘটনায় আতঙ্কিত গৃহবধূ, হতবাক পাড়ার লোকজনও।
সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। ধোপধুরস্ত পোশাক পরিহিত তিন যুবক এসে মণ্ডল বাড়ির দরজায় ঠেলা দেন। সে সময় শকুন্তলা ছেলে, মেয়ে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন। স্বামী ছিলেন না। শকুন্তলা মণ্ডলের কথায়, “তিনটে ছেলে, ২২ থেকে ২৫ বছর বয়স হবে। ভাল পোশাকই পরা। বলল, বউয়ের জন্য কাপড় নিতে এসেছে। দেখে কী করে বুঝব কার মনে কী আছে। এরপর ঘরের ভিতর ঢুকতেই ঘাবড়ে যাই। একজন মুখ চেপে ধরে আমার। বাকি দু’জনের একজন লকার খুলে দেখছিল। একজন গলার কাছে ছুরি ধরেছিল। আর কী বলব তখন। ওরা বলছিল, অনেকদিন ধরে নাকি ওরা লক্ষ্য রাখছে। তার মানে ওদের কাছে আগাম খবর ছিল।”
শকুন্তলা মণ্ডল জানান, ঘরে ঢোকার আগে কাউকে একটা ফোন করেছিলেন তিন যুবক। দরজা খুলতেও তাঁরা বলেন, কালীতলা থেকে এসেছেন। এরপরই শকুন্তলা ঘরে আসতে বলেন তাঁদের। ঘরে ঢুকতেই বোঝেন কত বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। শকুন্তলা মণ্ডলের কথায়, “একজন লম্বা ছুরি ধরে আছে। চকচক করছে। আরেকজনও ছুরি বের করছে। একজন মুখটা চেপে ধরেছিল। আরেকজন বলছে, স্বামী যে ক্যাশটা নিয়ে এসেছে বের করুন। আমি বললাম নগদ তো নেই। এরপরই আলমারিতে খোঁজাখুজি করে। আমার কানের দুল ধরে টানাটানি করছে। আমি বললাম, আমিই খুলে দিচ্ছি। ৪ হাজার টাকা ছিল আলমারির ভিতর। নিয়ে গেছে। এর বেশি নগদ না থাকায় মারধরও করে।”
এর আগে জাঙ্গিপাড়ার মহাপ্রভু এলাকায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক মহিলার গলার হার ছিনতাই করে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতী। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মীর বাড়িতে ঢুকে এই ঘটনা ঘটায় এক দুষ্কৃতী। জাঙ্গিপাড়া থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে এই ঘটনা ঘটে।