হুগলি: দুর্গাপুজো কাটতেই শুরু হয়ে গেছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বারোয়ারি পুজো কমিটি তাদের কাঠামো পুজো সেরে ফেলেছে। মঙ্গলবার চন্দননগর কমিশনারেটের কমিশনার অমিত পি জাভালগি, ডিসি হেডকোয়ার্টার নিধি রানী, ডিসি চন্দননগর ভিদিত রাজ বুন্দেশ,আইসি চন্দননগর শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পুলিশ আধিকারিকরা চন্দননগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। চন্দননগরের রানিঘাটে কীভাবে বিসর্জন হবে, কোথায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে, সব ঘুরে দেখেন। তার সঙ্গে সমস্ত রাস্তার নো এন্ট্রি পয়েন্টগুলিও ঘুরে দেখেন।
গত বছর চন্দননগর ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে প্রায় ১৭২ টি পুজো হয়েছিল। এবছর বহু বারোয়ারি জুবিলির রয়েছে,পাশাপাশি গত দু’বছরে যাদের জুবিলি ছিল, তারাও এবছর শোভাযাত্রায় বের হবে।
পুলিশ কমিশনার জানান, চন্দননগর ভদ্রেশ্বর ও রিষড়ায় জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে নিরাপত্তার কোনও খামতি থাকবে না। নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে কী কী করা দরকার, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হবে ওয়াচ টাওয়ার,থাকবে পুলিশের সহায়তা কেন্দ্র।
পুজো উদ্যোক্তা ও দর্শনার্থীদের যাতে কোন অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয়, সেজন্যই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত দু’বছর করোনার কারণে বন্ধ ছিল জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা। এ বছর চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির পক্ষ থেকে শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। যা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারাও। তাই মানুষের নিরাপত্তা যাতে কোন খামতি না থাকে তার জন্য পুলিশি সর্বদা সতর্ক থাকবে।
জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনগুলিতে বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হবে। রাস্তার মোড়, ওলিগলিতে নজরদারি রাখতে রাখা হবে ড্রোন ও সিসি ক্যামেরা। যে সমস্ত জায়গা গুলি অন্ধকারাচ্ছন্ন, সেগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলোর ব্যবস্থা করা হবে। পুলিশের নিরাপত্তা বাহিনী অর্থাৎ উইনারস টিম, অ্যান্টি ইভটিজিং পার্টি, অ্যান্টি ক্রাইম পার্টি মোতায়েন করা থাকবে।