হুগলি: হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে ডাকাতির ঘটনায় হুগলির মশাট থেকে গ্রেফতার করা হল তিনজনকে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের কাপড় ব্যবসায়ী সুজিত কারার। শুক্রবার ভোরে তাঁর বাড়িতেই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জগৎবল্লভপুরের বড়গাছিয়া এলাকার এই ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হল। চণ্ডীতলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁদের। হুগলি গ্রামীণ পুলিশসুপার আমনদীপ জানান, ডাকাতি করে ফেরার সময় চণ্ডীতলা থানার টহলরত পুলিশ কর্মীরা মশাটের কদমতলা এলাকায় ওই দলটিকে ধরে ফেলে। একজন পালিয়ে গেলেও তিনজন পালাতে পারেননি। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি পাইপ গান, দু’টি বুলেট, দু’টি ক্যামেরা, লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই একটি ঘটনাই নয়। আরও বেশ কয়েকটি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এই দলের। অন্তত পুলিশের হাতে তেমন তথ্যসূত্রই উঠে এসেছে। এই দলটি হাওড়া ও হুগলির বেশ কয়েকটি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানান হুগলি গ্রামীণ পুলিশসুপার আমনদীপ। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের জেরা করে আরও বেশ কিছু তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। হাওড়া গ্রামীণের অ্যাডিশনাল এসপি অলকানন্দা ভাওয়াল বলেন, ডাকাত দলটি বিহার থেকে এসেছে।
শুক্রবার ভোরে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে কাপড় ব্যবসায়ীর বাড়িতে একটি দুষ্কৃতী দল হানা দেয়। অভিযোগ, ঘরে ঢুকে গৃহকর্তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে তারা। এরপর ব্যবসায়ীর সাত বছরের ছেলের মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে যাবতীয় সোনার গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর স্ত্রীর গা থেকে সমস্ত গয়না খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা বলেও অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ী জানান, ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার সোনার গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় সকলের হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে চম্পট দেয় ডাকাত দল।