হুগলি: কোন্নগর গণধর্ষণের অভিযোগে ধৃতদের শুক্রবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক দুই অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ক্রমেই তাতছে রাজনৈতিক পট। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি তুলে কোন্নগর শহর জুড়ে পোস্টারিং করে এসএফআই। অন্যদিকে ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্তের সঙ্গে শাসকদলের একাধিক নেতার ছবিকে সামনে রেখে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, একটা ছবি দেখিয়ে বিরোধীদের এই রাজনীতি কোনওদিনই ধোপে টেকে না। তাদের বক্তব্য, কে কার সঙ্গে ছবি তুলছে সেটা বড় কথা নয়। অপরাধটাই মুখ্য। অপরাধীর শাস্তি হবেই।
এই ‘গণধর্ষণে’ মূল অভিযুক্তর হাতে তৃণমূলের পতাকা রয়েছে এমন ছবি সামনে এসেছে বলে অভিযোগ। যদিও সে ছবির সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। অন্যদিকে উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক, কোন্নগরের বর্তমান চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল তন্ময় দেবের সঙ্গেও ছবি রয়েছে অভিযুক্তের। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। প্রথম থেকেই বিজেপি অভিযোগ তোলে, এই ঘটনাকে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এরইমধ্যে এই ছবি বিড়ম্বনা।
যদিও তন্ময় দেব বলেন, “আমরা রাজনীতি করি। আমাদের সঙ্গে অনেকেই ছবি তোলেন। কিন্তু পরে গিয়ে কে কী অপরাধ করছে তা তো আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। দেশের তাবড় নেতাদের সঙ্গেও তো বহু লোকের ছবি সামনে এসেছে, যারা নানা দুষ্কর্মে অভিযুক্ত। তাতে তো সেই নেতার কোনও অপরাধ হয়ে যায় না। এসব ছবি রাজনীতি তাই মূল্যহীন। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি হবেই।”
গত ১ মার্চ কোন্নগরে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নৃশংসতার ভিডিয়ো করা হয়। অভিযোগ, পরে সেই ভিডিয়ো দেখিয়েই ব্ল্যাকমেইল করেন অভিযুক্ত। ভয় দেখিয়ে গণধর্ষণও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপি ইতিমধ্যেই বলেছে, বড়সড় আন্দোলনে নামবে তারা। শুক্রবার বাম ছাত্র যুব ও মহিলারা মিছিল করেন। কোন্নগর ক্রাইপার রোড থেকে বাটা হয়ে জিটি রোডে কোন্নগর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবরোধ করেন তাঁরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীকুর রহমান।