বৈদ্যবাটি: পুজোর পর থেকেই ধীরে ধীরে চড়তে শুরু করেছিল বাজারের পারদ। শাক-সবজি থেকে শুরু মাছ-মাংস সব জিনিসের দাম বর্তমানে আকাশছোঁয়া। বর্তমানে কলকাতার (Kolkata) বাজারে গোটা রুই মাছ (Fish Price) বিকোচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে। সেখানে কাটা রুইয়ের দাম ছাড়িয়েে যাচ্ছে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকার গণ্ডি। অন্যান্য মাছের দামের পারাও রীতিমতো ঊর্ধ্বমুখী। মাছ বাজারে গিয়ে হাত পুড়ছে সাধারণের। ভোগান্তি যে হচ্ছে তা এদিন কার্যত মেনে নিলেন মৎস মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী।
এদিন হুগলির বৈদ্যবাটি রেগুলেটেড মার্কেটে বৈদ্যবাটি মৎসজীবী সমবায় সমিতি এবং অল বেঙ্গল একোয়া ফারমার্স ওয়েলফেলার অ্যাসোসিয়েশান এর যৌথ উদ্যোগে সারা বাংলা মৎস শিকার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল। এখানেই গিয়েছিলেন মৎস মন্ত্রী বিপ্লব রায় চৌধুরী। মাছ ধরা শেষে বিজয়ীদের পুরষ্কৃতও করেন মন্ত্রী। এই অনুষ্ঠান গিয়েই মাছের চড়া দাম নিয়ে মৎস মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে বাইরের রাজ্যের উপর মাছের নির্ভরতা অনেকটা কমেছে। মাছ চাষটাকে এক সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রশিক্ষণের জন্য জেলা ও ব্লক স্তরের ফিসারিজ অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে এর ফল পাওয়া যাবে। এটা ঠিক যে মাছের দাম বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কি করে মাছের জোগান বাড়িয়ে মাছের দাম কমানো যায়। তবে এটা আজ বললে কাল হবে না।”
অন্যদিকে এদিন খোদ মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে নিজেদের অভাব-অনুযোগের কথা তুলে ধরলেন মৎসজীবীরা। উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় মাছ চাষে সমস্যা হচ্ছে। পুলিশি হয়রানিরও শিকার হতে হয় প্রায়শই। এ বিষয়গুলিতে মৎস মন্ত্রীর কাছে সাহায্যের দাবি জানালেন মৎসজীবীরা। মৎসজীবী সমবায়ের সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাত্র বলেন, “মৎস্যজীবীদের পরিকাঠামোগত অনেক সমস্যা রয়েছে।মাছ উৎপাদন করতে খরচ অনেক বেশি হয়ে যায়। মাছের খাবার সরকারিভাবে পেলে অনেক সুবিধা হয়। গাড়ি করে মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশি জুলুমের শিকার হতে হয়। মাছ বিক্রি না হলে হিমঘরে রাখার ব্যবস্থাও নেই। তাই অনেক সময় দাম পাওয়া যায় না।” এ সমস্ত কথাই এদিন মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।