Extramaratial Affair: স্ত্রী-র মন মজেছে অন্য পুরুষে, রাগে বন্ধুকে খুন স্বামীর
Extramaratial Affair: পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দাদপুর থানার পুলিশ জানতে পারে নবী আলম আনসারি তাঁর নিজের দোকানে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। এরপর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।
হুগলি: প্রথম পক্ষের স্ত্রী-র সঙ্গে বন্ধুর প্রেমের সম্পর্ক। সেই থেকেই তৈরি হয় আক্রোশ। আর সেই আক্রোশের জেরে বন্ধুকে খুনের ছক ব্যবসায়ীর। অভিযোগ, গলা অবধি মদ খাইয়ে বন্ধুকে গলা টিপে হত্যা করলেন ব্যক্তি। গ্রেফতার অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মহম্মদ নবী আলম আনসারি (৩৯)। বাড়ি বিহারের মুজাফ্ফরপুর এলাকায়। হুগলির দাদপুর থানার মহেশ্বরপুরে এলাকায় গাড়ির টায়ার বিক্রির ব্যবসা করতেন। সেখানেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অভিযুক্ত শেখ সিকান্দর আলির সঙ্গে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দাদপুর থানার পুলিশ জানতে পারে নবী আলম আনসারি তাঁর নিজের দোকানে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় ক্ষত চিহ্ন দেখতে পান পুলিশ কর্মীরা। এরপর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। দোকানের ম্যানেজার দাদপুর থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত যত এগোয় ততই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য়।
মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দেহের পাশে পরে থাকা একটি চিরকুট পায় পুলিশ। তাদের দাবি, সেই চিরকুটে তিনটি মোবাইল নম্বর লেখা ছিল। মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই খোঁজ মেলে খুনের ঘটনায় জড়িত শেখ সিকান্দার আলির। এরপর শুক্রবার রাত্রিবেলা হাওড়ার শালিমার রেলওয়ে সাইটিং থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সিকান্দারের দু’টি বিয়ে। তবে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করতেন না তিনি। এই প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গেই নাকি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল নবী আলম আনসারির। সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই শেখ সিকান্দার ও নবী আলম আনসারির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, তারপর থেকেই বন্ধুকে খুনের পরিকল্পনা করতে শুরু করেন সিকান্দার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ ই ফেব্রুয়ারি রাত্রিবেলা দু’জনই মদ্যপান করেন এক সঙ্গে। অভিযোগ, এরপর মহম্মদ নবী আলমকে তাঁরই দোকানে গলা টিপে খুন করেন শেখ সিকান্দার। খুনের পরই মহম্মদ নবী আলম আনসারির গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয় শেখ সিকান্দার আলি। হরিপালের ওলিপুর এলাকা থেকে সেই গাড়িটি উদ্ধার করলেও মোবাইল ফোনটি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে হুগলির গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিক প্রিয়ব্রত বক্সি জানান, “আজ পুলিশি হেফাজতে চেয়ে অভিযুক্তকে চুঁচড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কে কে জড়িয়ে আছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”