চুঁচুড়া: মদ্যপান, কখনও মারধরের অভিযোগ ছিলই। কিন্তু পরে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাবেন কে ভেবেছিল! স্কুলে যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তায় স্ত্রীর সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন ব্যক্তি।
হুগলির পোলবার ঘটনা। জানা গিয়েছে, শুক্রবার নিত্যদিনের মতোই কাজে বেরিয়েছিলেন পূর্ণিমা মেটে। কলেজে কাজ করেন পূর্ণিমা দেবী। তাঁর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী প্রদীপ মেটে তাঁর উপর অত্যাচার করেন। এরপর এ দিন সকালে সাইকেল চালিয়ে কলেজ যাওয়ার সময় কামদেবপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে তাঁর স্বামী প্রদীপ পথ আটকায়। কাটারি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে হাতের আঙুল কেটে পরে যায় পূর্ণিমা দেবীর।
এরপর তাঁর চিৎকারে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে যায় ওই এলাকায়। তখন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন প্রদীপ।তাঁকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় পোলবা থানায়। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।গুরুতর জখম অবস্থায় পূর্ণিমাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। অভিযুক্তের ভাই সুজিত মেটে বলেন, ‘দাদার মাথাটা একটু খারাপ হয়েছে ইদানিং। কিছুদিন আগে আমার স্ত্রীকেও কুপিয়ে ছিল। তখন নিজেদের বাড়ির ব্যাপার বলে আর কেস করিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রদীপ আর পূর্ণিমার সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না। কলেজে কাজ করে সংসার চালান তিনি। অতিরিক্ত মদ্যপান এবং স্ত্রীকে সন্দেহ করায় সাংসারিক অশান্তি চরমে ছিল। গত দেড় মাস বাপের বাড়ি পোলবার মেঘসারে ছিলেন পূর্ণিমা। ধুমায় ফিরে আজ কাজে যাওয়ার সময় এই ঘটনা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘পারিবারিক অশান্তির থেকে এই ঘটনা। ওঁর স্ত্রী আসছিল সাইকেলে চড়ে। তখনই তাঁর স্বামী অত্যাচার করেন। শুধু তাই নয়, বেধড়ক কোপান হয়। মহিলার অবস্থা এখন খুবই খারাপ।’