মহালয়ার রাতে একদল মহিলা হঠাৎ হাজির থানায়, গ্রামে কী এমন ভয়!
এই শুনিয়া গ্রামেই বাড়ি গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা নারায়ণ চন্দ্র পাঁজার। তিনিও কার্যত মেনে নিয়েছেন যে, গ্রামের মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। কিন্তু কেন এই আশঙ্কা?
আরামবাগ: রাজ্য জুড়ে নারী নিরাপত্তার দাবিতে মহিলারা রাত দখল করছেন। ‘ভোর দখল’ করে দেবী পক্ষের সূচনা হয়েছে আজ। তারই মধ্যে মহালয়ার রাতেই উদ্বেগ নিয়ে থানায় ছুটলেন মহিলারা। নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মহিলারা। হুগলির গোঘাটের শুনিয়া গ্রামে এমনই ছবিই দেখা গেল বুধবার রাতে।
এদিন দল বেঁধে মহিলারা একটি ইঞ্জিনভ্যানে চেপে সোজা চলে যান গোঘাট থানায়। তাঁদের দাবি, নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তাঁরা। সেই কারণে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন তাঁরা। লিখিত অভিযোগ পত্রও জমা দেন থানায়।
এই শুনিয়া গ্রামেই বাড়ি গোঘাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা নারায়ণ চন্দ্র পাঁজার। তিনিও কার্যত মেনে নিয়েছেন যে, গ্রামের মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। কিন্তু কেন এই আশঙ্কা? মহিলাদের দাবি, ওই গ্রামে চোলাই তৈরি হয়। অন্য জায়গা থেকে নিয়ে এসে গ্রামে বিক্রি করা হয়। আর সেই চোলাই কিনতেই বাইরের লোকজনের আনাগোনা বাড়ে রাতে।
মহিলাদের আরও অভিযোগ, বাড়ির পুরুষদের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের শিশুরাও মদে আসক্ত হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন গ্রামের মধ্যে ঝামেলা লেগেই রয়েছে। বারবার প্রশাসনে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলেই দাবি করেছেন তাঁরা। তাই এবার নিজেরাই ভ্যান ভাড়া করে হাজির হন থানায়। প্রশ্ন উঠছে,পুলিশ, আবগারি দফতরের নজরদারি এড়িয়ে এতদিন ধরে গ্রামের মধ্যে কীভাবে চলছে মদের কারবার?