হুগলি: ভিন ধর্মের যুবতিকে বিয়ে করায় পরিবারে অশান্তি চরমে। এরপর আজ উদ্ধার হল যুবকের মৃতদেহ। আত্মহত্যা নাকি খুন? কী হয়েছিল যুবকের সঙ্গে? পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাস্থান হুগলির চাঁপদানীর এ্যাঙ্গাস এলাকার। সেখানেই বছর চব্বিশের এক যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় আজ সকালে। মৃত যুবকের নাম সোনু রাম। বাড়ি এ্যাঙ্গাস টিবি হাসপাতাল এলাকায়। আজ ভোরে নিজের ঘরেরই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই যুবক। পরে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবী যুবকের শাশুড়ী এই মৃত্যুর জন্য দায়ী তাই তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকদিন ধরেই পাশের পাড়ার এক নাবালিকার বাড়ি যাতায়াত ছিল সোনুর। সেই সুবাদে বছর সতেরোর নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। দশ মাস আগে প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়েও যায় সোনু। পরে প্রেমিকার মা পুলিশে অভিযোগ জানায়। পুলিশ যুবককে গ্রেফতার করে। ছাড়া পাওয়ার কিছুদিন পর প্রেমিকাকে বিয়ে করে সে। কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি প্রেমিকার পরিবার। অশান্তি চলতে থাকে। যুবকের প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সোনুর স্ত্রী ভিনধর্মী জামাই হিসেবে সোনুকে মেনে নেয়নি তাঁর শাশুড়ী। ফলে অশান্তি চরম আকার নেয় গত কয়েকদিনে।
গতকাল আবার পুলিশ সোনুকে আটক করে,পরে ছেড়েও দেয়। বাড়ি ফিরে তাঁর স্ত্রী এক কোয়াটারে শুতে যায়,আর সোনু নিজের বাড়িতেই ঘুমিয়ে পরে। এরপর আজ ভোরে ওই যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় বাড়ির লোক। পরে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় এখনো কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। আত্মহত্যার ঘটনা হিসাবে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনার বিষয়ে এলাকার এক প্রতিবেশী বলেন, “গত কয়েকদিন ধরেই ওদের বিয়ে নিয়ে অশান্তি করছিল মেয়েটির মা। এর আগে ছেলেটিকে মারধরও করে মেয়েটির মা। একবার তো বাড়ি ঢুকে ছেলেটির হাত থেকে টাকাও নিয়ে নেয়। এরপর আজ ওর ঘর থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে।”