TV9 বাংলা ডিজিটাল : করোনা আবহেই চলছে বিয়ের ভোজ। জমায়েত প্রায় আড়ইশো লোকের। তারস্বরে বাজছে ডিজে। শনিবার রাত দশটার পরেও শব্দ দানবের তাণ্ডব না থামতে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন থানায়। ঘটনাস্থলে পুলিস এসে ডিজে বন্ধের নির্দেশ দেয়। (Police ordered to stop playing DJ in high volume)। কিন্তু কাকস্যপরিবেদনা! উল্টে পুলিসকেই মার খেতে হয় উন্মত্ত জনতার হাতে। হুগলির (Hoogly) শ্রীরামপুরের (Srirumpur) নেহরুনগর কলোনির এই ঘটনায় চা়ঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে দীর্ঘক্ষণ ধরেই ডিজে বাজছিল। তাতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে শ্রীরামপুর থানার জনাকয়েক পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই ডিজে বন্ধ করা নিয়ে দুই পক্ষের তরজা শুরু হয়। বচসার জেরে পুলিস কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বিয়েবাড়ির লোকেরা। লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয়। শুরু হয় ইটবৃষ্টি। এক কনস্টেবলকে টেনে নিয়ে গিয়ে পেটানো হয়। এক পুলিস কর্মীর হাত কামড়ে দেন এক মহিলা। খবর পেয়ে আরও পুলিস মোতায়েন করা হয়। কিন্তু, তাতেও বাগে আনা যায়নি উত্তেজিত জনতাকে। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে লাঠি চালাতে শুরু করে পুলিস। পাঁচ মহিলা সহ ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জখম পুলিস কর্মীদের দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন : বীরভূমে বন্দুকের নলে বিজেপির সভা,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিসের সম্বল টিয়ার গ্যাস
চন্দননগর (Chandannagar) পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘ডিজে বাজানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। বারণ করার পরেও বিয়েবাড়িতে ডিজে বন্ধ হয়নি। দোষীদের কঠোর শাস্তি হবে।’ পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, পুলিশের কাজে বাধা-দান, বিনা অনুমতিতে এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বক্স বাজানো-সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ওই দিন মামলার কেস ডায়েরি পুলিশকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।