Malda: থানায় গিয়ে যা করার করে নে! বাড়ির বউকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারের পর হুঙ্কার স্বামী-শ্বশুরের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Jun 02, 2022 | 6:39 PM

Malda: ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী-শ্বশুর সহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

Malda: থানায় গিয়ে যা করার করে নে! বাড়ির বউকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারের পর হুঙ্কার স্বামী-শ্বশুরের
ছবি - ব্যাপক চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়

Follow Us

মালদহঃ গ্রামে সালিশি সভা করেও মেটেনি বিবাদ। শ্বশুর-শাশুড়ি স্বামী সহ সাত জন মিলে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর দিয়ে ঘর ছাড়া করল গৃহবধূকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Malda Medical College Hospital) চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই গৃহবধূ। ঘটনাটি মালদহের ভূতনি থানা এলাকার। আক্রান্ত গৃহবধূর নাম মাসেদা খাতুন। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত স্বামী আনারুল হকের সঙ্গে দেখাশোনা করে তাঁর বিয়ে হয়। ২ ছেলেমেয়ে রয়েছে তাঁদের। কিন্তু, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে তাঁর উপর বিগত কয়েকদিন ধরে নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ। খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। গত মঙ্গলবার গ্রামে বসে সালিশি সভা। 

সালিশি সভাতেই নির্যাতিতাকে প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়েও আলোচনায় বসেন গ্রামের মোড়লরা। তার ফলে ফের ওই গৃহবধূ পরিবারের সদস্যদের রোষের মুখে পড়েন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে ফের তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বাড়ির বাইরে টেনে বের করে মারধর করা হয় বৃহস্পতিবার সকালেও। তাড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ি থেকে। তারপরই স্থানীয়রা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ভূতনি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনিত হওয়ায় তাঁকে মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শাশুড়ি নইনূর বিবি, শ্বশুর আতায়ূর রহমান, স্বামী মানারূল সহ সহ বাড়ির অন্য সদস্যরা।  

এ প্রসঙ্গে নির্যাতিতা মাসেদা খাতুন বলেন, “কাল-পরশু থেকে আমার শাশুড়ি সহ বাড়ির অন্যরা আমার উপর ব্যাপক মারধর শুরু করে। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। গালিগালজও করে। আমাকে ওরা কোনও সম্পত্তি দেবে না বলেও জানিয়ে দেয়। কাল গ্রামে বিচার বসে। আজ সকালে স্নানের পর ঘরে যেতেই শ্বশুর ঘরের সমস্ত জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দেয়। মারতে মারতে বলে তোকে এবার বাড়ি থেকে বের করে দেব। আমার স্বামীও বাবার কথা শুনে আমাকে মারে। ওরা মোট ৭ জন মিলে ব্য়াপক মারধর করে। শেষে বলে তুই থানায় যা। কী করতে পারিস দেখে নেব”। 

Next Article